সুমিত ঘোষ, মালদা: একমনে চাক ঘোরাচ্ছিলেন বছর তেইশের প্রকাশ পাল। পড়াশোনা সামলে এই সময়টায় ফি বছর বাপ ঠাকুর্দার পেশায় সাহায্যের হাত বাড়াতে হয় তাকে। আবার পলি পাল, লিপি পালের মতো ঘরের মহিলারা বাড়ির কাজ সামলে নিয়ম করে এখন মাটি নিয়ে দিন কাটাচ্ছেন। পুরাতন মালদার বাচামারি পালপাড়া বা রসিলাদহ পালপাড়ায় গেলে এখন ধরা পড়বে ব্যস্ততার এমনই ছবি। যদিও দুর্গাপূজার পর দিনকয়েকের টানা বৃষ্টিতে কাজ বন্ধ হয়েছিল কুমোরপাড়ায়। তবে রোদের দেখা মিলতেই কুমোরপাড়া ফের চেনা ছন্দে। চিনা টুনি বাজারে থাবা বসিয়েছে অনেকটাই। তবে মানুষ এখন অনেক সচেতন বলেই চাহিদা বাড়ছে মাটির প্রদীপের-জানালেন কারিগরেরা। প্রদীপের পাশাপাশি চলছে ঘট, ধুনুচির মতো পুজোর উপকরণ তৈরির কাজও।