নিজস্ব সংবাদদাতাঃ আপনি কি রহস্য প্রেমী? শিরায় শিরায় উপভোগ করতে চান শিহরণ? তবে ঘুরে আসতে পারেন রাজস্থানের ভানগর থেকে। যদিও ভ্রমণ প্রেমী বহু মানুষের তালিকা থেকেই বাদ পরে এই স্থান। তবে রহস্য সন্ধানের সেরা জায়গা এটি।
এটি এমন একটি স্থান যেখানে সরকার দ্বারা বিশেষ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। যার ফলে সন্ধ্যার পর এই স্থানে যাওয়া সম্পূর্ণ নিষেধ। শুধু তাই নয় বিশ্বের সেরা ভুতেরে স্থান গুলির মধ্যে এই স্থানের নাম রয়েছে।
ইতিহাস- বর্তমানে ভূতুরে কেল্লা বলে বিখ্যাত এই কেল্লার নির্মাণ করেন অম্বরের শাসক রাজা ভগবন্ত দাস। এই কেল্লার বহু ভূতের গল্প রয়েছে তবে তার মধ্যে সবথেকে বিখ্যাত রানী রত্নাবতির গল্প। স্থানীয়দের মতে, রানী ছিলেন অসামান্য সৌন্দর্যের অধিকারি। তার রূপের অহংকারে তিনি সর্বদা মেতে থাকতেন। একদা রানীর প্রেমে পাগল হন সিঙ্ঘানিয়া নামের এক তান্ত্রিক।
তিনি মন্ত্র বলে রানীকে বশে আনতে চেয়েছিলেন, তাই তিনি রানির সুগন্ধিতে বশীকরণের মন্ত্র দেন। তবে রানী তা বুঝতে পেরে সুগন্ধির বোতল পাথরে ছুড়ে মারেন। ফলে পাথরটি বশীভূত হয়ে তান্ত্রিকের পিছু নেয় যার দরুন তান্ত্রিকের মৃত্যু হয়। তবে তান্ত্রিক মৃত্যু পূর্বে অভিশাপ দেন তিনি রানীকে মৃত্যু পরেও ছাড়বেন না। স্থানীয়রা মনে করেন এখনও রানী এবং তান্ত্রিকের আত্মা এই কেল্লায় ঘুরে বেড়ায়।
অবস্থান- রাজস্থানের জয়পুর ও আজমগরের নিকটে ভানগর এলাকায় অবস্থিত এই কেল্লা।