নিজস্ব সংবাদদাতা: তরুণের স্বপ্ন প্রকল্পে পড়ুয়াদের ট্যাবের টাকা আত্মসাৎ করেছেন তারা। পূর্ব মেদিনীপুর উত্তর দিনাজপুর জেলা জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছেন তারা। ট্যাব কেলেঙ্কারি কাণ্ডে সিট গঠন করেছে পুলিশ। অন্যতম মাস্টারমাইন্ডদের করা হয়েছে পাকড়াও। আর এই জালিয়াতি কান্ডের আঁতুড় ঘর উত্তর দিনাজপুর।
উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ার তিন যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে শিলিগুড়ি থেকে। যারা এই উত্তর থেকেই ট্যাব জালিয়াতির নেটওয়ার্ক ছড়িয়ে দিতেন। রবিবার গভীর রাতে শিলিগুড়ি ভক্তিনগর এলাকায় তল্লাশি চালান তদন্তকারীরা সেখান থেকেই তিনজনকে পাকড়াও করা হয় যার মধ্যে একজন প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক। নিজেদের ভুয়ো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট তৈরি করে সেখানেই জমা করে রাখতেন ট্যাবের টাকা।
তাদের ট্রানজিট রিমান্ডে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়েছে। তবে এই জাল অনেক সুদূরে বিস্তৃত বলেই দাবি পুলিশের। উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া থেকে এর আগে হাতেনাতে ধরা হয় দুইজনকে যারা সাইবার ক্যাফের কর্মী ছিলেন। কত টাকার দুর্নীতি হয়েছে সেই সংখ্যা এখনো পর্যন্ত পুলিশের নাগালে নেই। ইতিমধ্যেই লালবাজারে বিশেষ টিম তদন্তে পৌঁছে গিয়েছে বিকাশ ভবনে। সেখান থেকেই এসেছে টাকা।
পুজোর আগে ট্যাবের টাকা ঢুকে গিয়েছে অনেক ছাত্র-ছাত্রীদের অ্যাকাউন্টে। আবার বিভিন্ন সরকারি স্কুলে অনেক ছাত্রছাত্রী হয়েছেন বঞ্চিত। সাইবার জালিয়াতি করে নিজেদের অ্যাকাউন্টে ঢুকিয়ে ফেলা হয়েছে এই ট্যাবের টাকা। পুলিশের কাছে পড়েছে ভুরি ভুরি অভিযোগ জমা।
এদিকে ট্যাব কেলেঙ্কারির ঘটনায় রবিবার ধৃত পাঁচজনকে ইসলামপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়। অভিযুক্তদের এদিন আদালতে দুই দিনের ট্রানজিট রিমান্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়। পূর্ব মেদিনীপুর থেকে ধৃতদের ধরে আনার জন্য পৌঁছে গিয়েছে পুলিশের স্পেশাল টিম।