নিজস্ব সংবাদদাতা: বাংলাদেশের টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটির সামনে পড়ে রয়েছে ভারতের জাতীয় পতাকা। সেই জাতীয় পতাকা পা দিয়ে মাড়িয়ে যাচ্ছেন ছাত্র-ছাত্রী থেকে শিক্ষক শিক্ষিকারা। একসময় যে ভারত বন্ধু দেশ হয়ে পাশে দাঁড়িয়ে ছিল বাংলাদেশের। যে ভারত একসময় তাদের সাহায্য করেছিল স্বাধীন হতে, সেই ভারতের জাতীয় পতাকা আজ পদদলিত হচ্ছে।
১৯৭১ সালের পর এমন ঘটনা হয়তো দেখেনি গোটা বিশ্ব। কিন্তু সেই ঘটনাই এখন দেখছে বিশ্ববাসী। যে দেশ থেকে বিভিন্ন সময় নানান সুযোগ সুবিধা পেয়েছে বাংলাদেশ, সেই দেশের অবমাননা করে তার প্রতীকের অমর্যাদা করা হচ্ছে। এই ছবি দেখে নিজেকে আর ঠিক রাখতে পারেননি চিকিৎসক ইন্দ্রনীল সেন। কলকাতার প্রখ্যাত গাইনোকলজিস্ট ইন্দ্রনীল সেন সিদ্ধান্ত নিয়ে নেন তিনি আর কোন বাংলাদেশী রোগী দেখবেন না।
যারা মাতৃভূমি এবং জাতীয় পতাকার সম্মান করে না, তাদের সঙ্গে কোনো বন্ধুত্ব নয়। যদিও এই বিষয়ে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছিলেন, চিকিৎসা এবং অন্যান্য পরিষেবা নিয়ে বৈরিতা না করাই উচিত। এদিকে চিকিৎসক ইন্দ্রনীল সেনের পদাঙ্ক অনুসরণ করে এবার অভিনব সিদ্ধান্ত নিলেন শিলিগুড়ির বিশিষ্ট চিকিৎসক শেখর বন্দ্যোপাধ্যায়।
শিলিগুড়ির এই প্রখ্যাত চিকিৎসক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আগে দেশের সম্মান তারপরে তার পেশার সম্মান। কারণ ভারতের মানুষের অমর্যাদা হচ্ছে পার্শ্ববর্তী দেশে। নাক কান এবং গলার চিকিৎসক শেখর বন্দ্যোপাধ্যায় তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, বাংলাদেশে ভারতীয় জাতীয় পতাকার অবমাননার তীব্র প্রতিবাদ জানাবেন তার কর্মের মাধ্যমে। নিজের চেম্বারে তিনি লাগিয়ে দিয়েছেন তেরঙ্গা।
সেই সঙ্গে জানিয়েছেন, তার দেশের এই পতাকাকে যিনি সম্মান জানাতে পারবেন সেই রোগীর পরিচর্যা করবেন তিনি। যদিও বাংলাদেশী রোগী তিনি দেখবেন কিনা সেই ব্যাপারে কোনরকম মন্তব্য করতে নারাজ এই চিকিৎসক। তার এই সিদ্ধান্তকে কুর্নিশ জানিয়েছেন রোগীরা।