পিংলার পটচিত্র এবার পোস্টকার্ডে, হয়ে গেলো আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন, খুশি শিল্পীরা
পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলার নয়া গ্রামের পটচিত্র এবার ভারতের ডাক বিভাগের পোস্টকার্ডে স্থান পেল। ডাক বিভাগের উদ্যোগে পটশিল্পীদের কাজের উৎকর্ষ তুলে ধরা হচ্ছে, যা দেশ-বিদেশে জনপ্রিয় হতে পারে।
নিজস্ব সংবাদদাতা : পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলার নয়া গ্রামের পটচিত্র এ বার স্থান পেল ভারতীয় ডাক বিভাগের পোস্টকার্ডে। পটচিত্রের উৎকর্ষ তুলে ধরার পাশাপাশি, সহজে ডাক বিভাগের পার্সেলের মাধ্যমে বিদেশে পাঠানোর লক্ষ্যেই এই উদ্যোগ। ইতিমধ্যেই পোস্টকার্ডের অনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়েছে সবং কলেজের অডিটোরিয়াম হলে। আনুষ্ঠানিকভাবে এর উদ্বোধন করেন সাউথ বেঙ্গল রিজিওনের পোস্ট মাস্টার জেনারেল ঋজু গাঙ্গুলী। এমন পিকচার পোস্টকার্ড বাজারে আসছে জানতে পেরে অনেকেই কিনতে অনুরোধ পাঠিয়েছেন ডাক বিভাগের কাছে। ডাক বিভাগও পোস্টকার্ড নিয়ে ভীষণ উৎসাহী।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পিংলা ব্লকে অবস্থিত নয়া, গ্রামের মানুষ এক সময় পটচিত্র এঁকে, তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে গান বাঁধতেন। সীতার বনবাস, রাম রাবণের যুদ্ধ প্রভৃতি পৌরাণিক কাহিনী অবলম্বনেই হতো এই পটচিত্র। গ্রামে গ্রামে পটচিত্র দেখিয়ে গান গাইতেন শিল্পীরা। বিদেশীদের কাছেও পটচিত্রের কদর বেড়েছে।বিছানার চাদর, টেবিল ক্লথ থেকে পাঞ্জাবি, মেয়েদের হ্যান্ড ব্যাগ, কাঁচের গ্লাস, নিত্য ব্যবহার্য জিনিসের উপর ফুটিয়ে তোলা হয় পটচিত্র।
ডাকবিভাগের আশা এটিও সাধারণ মানুষের কাছে কদর পাবে। সাধারণত, এ সব ক্ষেত্রে ৫-৬ হাজার পিকচার পোস্টকার্ড বানানো হয় বলে ডাকবিভাগ সুত্রে জানা গিয়েছে। এই পিকচার পোস্টকার্ডের দাম ১০ টাকা। তবে বার্তা পাঠাতে গেলে আরও ৬ টাকার স্ট্যাম্প লাগাতে হবে। ইতিমধ্যে পটচিত্রের পোস্টকার্ড সংগ্রহের জন্য ত্রিপুরা, মহারাষ্ট্রের পাশাপাশি রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে অনুরোধ আসা শুরু হয়েছে। খুশি পিংলার নয়ার পটশিল্পীরা।