নিজস্ব সংবাদদাতা: টুসু গানের ইতিহাস জড়িয়ে আছে রাঢ় বাংলার নিজস্ব সংস্কৃতির সঙ্গে। রাঢ় অঞ্চলের রুক্ষ জীবন যাপনের মাঝে হাসি, কান্না, সুখ, দুঃখ যেন জড়িয়ে আছে হাজার হাজার বছর ধরে। টুসু হলেন এক লৌকিক দেবী। যাকে কুমারী রূপে কল্পনা করা হয়। প্রধানত কুমারী মেয়েরা টুসুপুজো করে থাকেন। এই উৎসব মূলত আদিবাসী -মূলবাসীদের প্রধান উৎসব হলেও, ‘মকর-পরব’ ঘিরে আনন্দে মেতে ওঠেন সবাই। টুসু উৎসবের প্রচলন পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং পূর্ব সিংভূম জেলায়।
আগে সারারাত গান শুনিয়ে জাগিয়ে রাখা হয় সমৃদ্ধির দেবী টুসুমণিকে। আর পরের দিন গান গাইতে গাইতে দেবীকে নদী কিংবা জলাশয়ে ভাসিয়ে দেওয়া হয়। টুসু বিসর্জন হয় পৌষ সংক্রান্তির ভোরবেলায়। মেয়েরা সবাই একসঙ্গে গান গাইতে গাইতে টুসু দেবীকে নিয়ে আসেন বাঁশ অথবা কাঠের তৈরি রঙিন কাগজ দ্বারা সজ্জিত দোলায় বসিয়ে। আর তারপর নদী বা পুকুরে গিয়ে বিসর্জন দেওয়া হয়।