নিজস্ব প্রতিবেদন : গোটা দেশ এবার আলোর উৎসবে মাততে চলেছে। দীপাবলির আগে ধনতেরসের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে জোরকদমে। ধনতেরস একটি সমৃদ্ধির উৎসব, যেখানে সোনা ও রুপো কেনার রেওয়াজ প্রচলিত। অনেকেই জানেন না, ধনতেরসে সোনা বা রুপো কেনার মাধ্যমে দেবী লক্ষ্মীর আশীর্বাদ লাভ করা যায়। মা লক্ষ্মী ধন-সমৃদ্ধির দেবী হিসেবে পূজিত হন, এবং ধনতেরসে তাঁর সঙ্গে কুবেরের পূজাও করা হয়। এই দিনে ভগবান ধন্বন্তরীর আরাধনা করা হয়, যিনি স্বাস্থ্যরক্ষা করেন। ধনতেরসে দেবী লক্ষ্মী, কুবের ও ধন্বন্তরীর পুজোর পাশাপাশি কেনাকাটারও বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে।
প্রতি বছর ভাদনি তেরাসিনি তিথিতে ধনতেরস পালিত হয়। এই বছর ধনতেরস পড়েছে ২৯ অক্টোবর, মঙ্গলবার। ওই দিন সকাল ১০.৩১ মিনিট থেকে ধন ত্রয়োদশী তিথি শুরু হবে এবং চলবে ৩০ অক্টোবর বুধবার দুপুর ১.১৫ মিনিট পর্যন্ত। পাঁজির মতে, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬.৩১ মিনিট থেকে রাত ৮.১৩ মিনিটের মধ্যে শুভ মুহূর্ত রয়েছে, যখন ভক্তরা ধনতেরসের পুজো করতে পারেন।
সোনা ও রুপোর পাশাপাশি কিছু জিনিসও ধনতেরসে কেনা অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। এর মধ্যে ঝাড়ু অন্যতম। জ্যোতিষাচার্য স্বামী কানহাইয়া মহারাজ জানিয়েছেন, ধনতেরসের দিনে নতুন ঝাড়ু কেনা উচিত। হিন্দু ধর্মে ঝাড়ুকে মা লক্ষ্মীর প্রতীক হিসেবে মান্যতা দেওয়া হয়েছে। তাই ঝাড়ুর ওপর পা রাখা উচিত নয়, অন্যথায় মা লক্ষ্মীর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী, ধনতেরসের দিনে যদি কেউ ঝাড়ু কিনে বাড়িতে নিয়ে আসেন, তবে দেবী লক্ষ্মী সেখানে অবস্থান করেন এবং তাঁর কৃপা সারাবছর বর্ষিত হয়। স্বামী কানহাইয়া মহারাজ জানিয়েছে, ২৯ অক্টোবর ধনতেরসের পুজোর জন্য ১ ঘণ্টা ৫৫ মিনিট সময় রয়েছে।
সোনা, রুপো বা ঝাড়ু কেনার পাশাপাশি ধনতেরসের দিন বিনিয়োগ করাও অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। শাস্ত্রজ্ঞ পণ্ডিতরা জানান, এই দিন যে কোনও শুভ কাজ করা যায়। নতুন বাড়ি কেনা বা ব্যবসায় বিনিয়োগের জন্য ধনতেরস হল সেরা দিন। সার্বিকভাবে, ধনতেরস একটি অর্থনৈতিক এবং ধর্মীয়ভাবে গুরুত্বপূর্ণ উৎসব, যেখানে কেনাকাটার মাধ্যমে দেবীর আশীর্বাদ পাওয়ার আশা করা হয়। এই উপলক্ষে সবাইকে শুভেচ্ছা।