নিজস্ব সংবাদদাতাঃ পুরীর জগন্নাথ মন্দির ঘিরে রয়েছে নানা মিথ বা রহস্য। আগামী ৭ জুলাই ২০২৪ রবিবার পালিত হবে এই বছরের রথযাত্রা। বহু ভক্তের এইদিন পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে আগমন হয়। তবে আসুন জেনে নিই এই মন্দিরের রহস্যের কথা।
কাঠের মূর্তি- জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার মূর্তিগুলি কাঠের তৈরি। প্রতি ৮, ১২ বা ১৯ বছর পর পর এই মূর্তি পালটে ফেলা হয়। একে বলে নবকলেবর। কোনও পূর্ণবয়স্ক নিম গাছ নির্বাচন করে মূর্তি তৈরি করা গোপনীয়তা রক্ষা ররে ২১ দিনের মধ্যে সম্পূর্ণ করে ফেলতে হয়।
পতাকার দিক- জগন্নাথ মন্দিরের পতাকা ওড়ে বাতাসের বিপরীত দিকে। প্রতিদিন সেই পতাকা পরিবর্তন করা হয়। মন্দিরের এক সেবায়েত মন্দিরের চূড়ায় উঠে এই পতাকা পরিবর্তন করে থাকে। প্রতিদিন ৪৫ তলা উঁচু বাড়ির সমান মন্দিরে কোনও সুরক্ষা কবচ ছাড়াই খালি হাতে বদল করা হয় মন্দিরের পতাকা।
ছায়া পড়ে না- পুরীর জগন্নাথ মন্দির ৪৫ তলা বাড়ির সমান হলেও, মাটিতে এর কোনও ছায়া পড়ে না। কেন এই মন্দিরের ছায়া পড়ে না, তা আজও গবেষণা করেও বের করা সম্ভব হয়নি।
অবাধ মহাপ্রসাদম- পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে দিনে পাঁচ বার মহাপ্রসাদ দেওয়া হয় ঠাকুরকে। মোট ৫৬ রকমের ভোগ দেওয়া হয় জগন্নাথদেবকে। দুটি ভাগে ভাগ করে তাকে ভোগ দেওয়া হয়।
মহাপ্রসাদ রন্ধন প্রণালী- পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের মহাপ্রসাদ রন্ধন প্রণালী বেশ অদ্ভুত। সাতটি মাটির পাত্রকে একটির উপর আর একটি চাপিয়ে রান্না করা হয়। আগুন দেওয়া হয় একদম নীচে। কিন্তু সবার উপর যে পাত্র থাকে, তার মধ্যের অন্ন সবার আগে সেদ্ধ হয়ে যায়। এই রহস্যের কিনারা আজও কেউ করতে পারেনি।