বাঁশের মই দিয়েই চলছে এক জেলা থেকে অন্য জেলায় যাতায়াত

অবাক কাণ্ড।

author-image
Adrita
New Update
u

নিজস্ব সংবাদদাতা, পশ্চিম বর্ধমানঃ বাঁশের মই বেয়ে সেতু থেকে চলেছে উঠা-নামা। দড়ি দিয়ে টেনে তোলা এবং নামানো হচ্ছে সাইকেলসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র। এভাবেই এক জেলা থেকে অন্য জেলায় চলছে যাতায়াত। এমনই এক চিত্র দেখা গেল পশ্চিম বর্ধমান জেলার কাঁকসার বিদবিহারের কৃষ্ণপুরে।

এ ক্ষেত্রে উল্লেখ্য যে, কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টিতে কাঁকসার বিদবিহারের অজয় নদের মাটির অস্থায়ী সেতু গলেছে অজয়ের রোষে। শুরু হয়নি নৌকা পরিষেবাও। বন্ধ হয়েছে পশ্চিম বর্ধমানের সাথে বীরভূমের যোগাযোগ ব্যাবস্থা। দুই জেলার মানুষের জীবন ও জীবিকাতেও পড়েছে টান। সেই যাতায়াত সমস্যা মেটাচ্ছে একটি বাঁশের মই।

বলা বাহুল্য যে, কাঁকসার বিদবিহারের কৃষ্ণপুর হয়ে বীরভূমের ইলামবাজারের জয়দেব পর্যন্ত হয়েছে অজয় নদের ওপর স্থায়ী সেতু। সেতুর সংযোগকারী রাস্তার কাজ শেষ না হওয়ায় সেই সেতুতে শুরু হয়নি এখনো যান চলাচল। তাই দুই জেলার মানুষকে চূড়ান্ত দুর্ভোগের মুখে পড়তে হচ্ছে। সেই দুর্ভোগের হাত থেকে বাঁচতে কাঁকসার বিদবিহারের কৃষ্ণপুরে ওই স্থায়ী সেতুর ওপর ওঠা নামার জন্য করা হয়েছে একটি বাঁশের মই। সেই মই করেছেন স্থানীয় বেশ কিছু মানুষ। বহু মানুষ সেই মই দিয়ে স্থায়ী সেতুর ওপর উঠছেন তারপরে তারা বীরভূমের দিকে রওনা দিচ্ছেন। আবার বীরভূম থেকেও পশ্চিম বর্ধমানে রওনা দিচ্ছেন সেই বাঁশের মই দিয়ে নেমে। 

এই বিষয়ে সন্তোষ ঘোষ নামের এক ব্যক্তি বলেন," অজয় নদে বন্যা হলেই ভেঙে যায় অস্থায়ী মাটির সেতু। তারপর আমাদের বিশাল দুর্ভোগের মুখে পড়তে হয়। বীরভূম থেকে বহু শ্রমিকরা এবং বহু পড়ুয়ারা দুর্গাপুরে আসেন। তাদেরও তীব্র সমস্যার মুখে পড়ে প্রায় ৩০ কিলোমিটার ঘুরে দুর্গাপুরে পৌঁছাতে হয়। স্থায়ী সেতু নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে কিন্তু সংযোগকারী রাস্তার কাজ এখনো শেষ না হওয়ায় এখনো যান চলাচল শুরু হয়নি। তাই কৃষ্ণপুরের কিছু মানুষ একটি বাঁশের মই করেছেন স্থায়ী সেতুতে উঠা-নামার জন্য। সাইকেলও দড়ি বেঁধে তোলা হচ্ছে নামানো হচ্ছে। এই মই দিয়ে উঠলেই মাত্র এক কিলোমিটারের মধ্যে বীরভূমের জয়দেবে যাওয়া যাচ্ছে। আমাদের কিছুটা হলেও সুবিধা হচ্ছে। "

বীরভূমের ইলামবাজারের জনুবাজারের পীতম্বর উচ্চ বিদ্যালয়ের পড়ুয়া শুভম দত্ত বলেন," অস্থায়ী সেতু ভেঙে যাওয়ায় স্কুলে যাওয়া বন্ধই হয়ে গেছিল। এই বাঁশের মই করার ফলে আমরা এই সেতুতে উঠে স্কুলে যেতে পারছি। "

কাঁকসা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ভবানী ভট্টাচার্য বলেন," বর্ষায় বৃষ্টি হলেই অস্থায়ী সেতু ভেঙে যায়। মানুষকে দুর্ভোগের মুখে পড়তে হয়। অজয়ের স্থায়ী সেতু নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে, সংযোগকারী রাস্তার কাজও কিছুদিনের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে। তারপরেই চিরতরে মুক্তি পাবে যাতায়াত সমস্যা। "

Adddd