Exclusive : ঝুঁকির মাঝে প্রতিশ্রুতি পূরণের আশা!

কংক্রিটের সেতু যেন স্বপ্ন। নদীর ওপর অস্থানীয় সেতু। বর্ষাকাল এলেই তা আর আস্ত থাকে না। প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে চলছে পারাপার। সামনে আরো একটা নির্বাচন। প্রতিশ্রুতি প্রতিশ্রুতি হয়েই রয়ে যাবে! পূরণ কবে হবে? জানতে চায় স্থানীয়রা।

author-image
Pallabi Sanyal
New Update
112

হরি ঘোষ, জামুড়িয়া : ভোট আসে ভোট যায় কিন্তু হয় না শিল্প ও কৃষির মেলবন্ধনের সেতু। এমনই দাবি বীরভূম ও পশ্চিম বর্ধমানের বাসিন্দাদের। অজয় নদীর এক পাশে রয়েছে বীরভূম ও ঝাড়খণ্ড এবং অন্য ধারে রয়েছে পশ্চিম বর্ধমান। ফলে পশ্চিম বর্ধমান এবং ঝাড়খণ্ড ও বীরভূমের অসংখ্য মানুষ যাতায়াত করে থাকেন এই অজয় নদীর উপর তৈরি হওয়া অস্থায়ী সেতুর মাধ্যমে। কিন্তু বর্ষাকাল এলেই অজয় নদীর জলের তোরে ভেঙে যায় এই অস্থায়ী সেতু । ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে পশ্চিম বর্ধমান জেলার সঙ্গে ঝাড়খণ্ড ও বীরভূমের। ফলে সমস্যায় পড়তে হয় দুই পাড়ের মানুষজনদের।

123

জামুড়িয়া বিধানসভার হিজলগড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের দরবাডাঙ্গা , চুরুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরকুলটি, এবং চিনচুরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সিদ্ধপুর বাগডিহাতে অজয় নদীর উপর প্রতি বছরই তৈরি করা হয় অস্থায়ী সেতু। অজয় নদী তীরবর্তী দরবাডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা মধুসূদন সৌ মন্ডল জানান, ''পশ্চিম বর্ধমান জেলা শিল্পের জন্য বিখ্যাত। ফলে সেই শিল্পে কয়েক হাজার মানুষ বীরভূম ও ঝাড়খণ্ড থেকে প্রতিদিন কাজের তাগিদে এসে থাকেন। তাছাড়াও বীরভূমের বেশ কয়েকটি অঞ্চল এই সেতু ব্যবহার করে আসানসোল,রানীগঞ্জ, দুর্গাপুর সহ কলকাতায় যাওয়া আসা করেন। যেহেতু বীরভূমের সদর শহর সিউড়ি থেকে অনেকটাই কাছে রানীগঞ্জ, আসানসোল বা দুর্গাপুর ফলে কয়েক হাজার মানুষ চিকিৎসার জন্য পশ্চিম বর্ধমান জেলায় এসে থাকেন। তাছাড়াও পশ্চিম বর্ধমান জেলার বহু মানুষের কৃষি জমি রয়েছে নদীর পারে।'' সিউড়ি বোলপুর সহ অন্যান্য শহরে খুব সহজেই অজয় নদী পার করে যাওয়া যায়। কিন্তু বর্ষাকালে এই সমস্ত অস্থায়ী সেতু ভেঙে যাওয়ার ফলে নৌকা অথবা ডিঙ্গি ব্যবহার করতে হয় তাদের
যার ফলে প্রায় দুর্ঘটনা ঘটে। তিনি জানান, ''দরবাডাঙ্গার ঘাটে জামুরিয়া পঞ্চায়েত সমিতির দ্বারা টেন্ডার করা হয়। এই রাস্তার উপর দিয়ে যাতায়াত করা মানুষজন ও গাড়িওয়ালাদের কাছে ট্যাক্স আদায় করা হয়। কিন্তু লাভ কিছুই হয় না।''
পথিক সৌ মন্ডল জানান, ''দীর্ঘদিন ধরে ভোটের সময় এই অজয় নদীর উপর পাকা সেতুর দাবি জানানো হচ্ছে। প্রতিশ্রুতি পেলও পাইনি এখনো সেতু।''

124


বীরভূমের পাসন্ডী এলাকার বাসিন্দা দীপক ঘোষ দাবি করেন, তারা প্রতিদিন কাজের জন্য এই অজয় নদী পার করে পশ্চিম বর্ধমান জেলায় এসে থাকেন। স্থায়ী সেতু না থাকার জন্য প্রচুর সমস্যা হয় তাদের। কৃষিজ শাকসবজি বিক্রি করার জন্য রানীগঞ্জ ও জামুড়িয়া খুব ভালো বাজার। কিন্তু সেতু না থাকার জন্য তাদের ব্যবসায় খুব ক্ষতি হয়।
বীরভূম জেলার আরেক বাসিন্দা  ইনজামুল খান জানান, এই বর্ষার সময় তাদের অনেক সমস্যায় পড়তে হয় ।স্থায়ী সেতু হলে তারা খুবই উপকৃত হবেন।