নিজস্ব প্রতিনিধি, পশ্চিম মেদিনীপুর : ভগবান জগন্নাথের রথের পাশাপাশি তার বোন সুভদ্রা এবং বড় ভাই বলরামের রথও রথযাত্রায় অংশগ্রহণ করে। কখন থেকে শুরু হয় এই রথগুলির নির্মাণ, কীভাবে শুরু হয়েছিল রথযাত্রা? প্রতি বছর আষাঢ় মাসে, ওড়িশার পুরীর জগন্নাথ মন্দির থেকে ভগবান জগন্নাথের রথ বের করা হয়। এবছর রথযাত্রা শুরু হবে ২০ জুন থেকে। ভগবান জগন্নাথ শ্রীকৃষ্ণের অবতার। এটা বিশ্বাস করা হয় যে ভগবান জগন্নাথের বোন সুভদ্রা দ্বারকাকে দেখার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন এবং তারপরে ভগবান জগন্নাথ তার বোনকে একটি রথে নিয়ে ঘুরেছিলেন এবং তারপর থেকে রথযাত্রা শুরু হয়েছিল। রথযাত্রায় অংশ নিয়ে যে রথ টানে সে একশত যজ্ঞ করার সমান পুণ্য লাভ করে বলে বিশ্বাস করা হয়। ভগবান জগন্নাথের রথের পাশাপাশি তার বোন সুভদ্রা এবং বড় ভাই বলরামের রথও রথযাত্রায় অংশগ্রহণ করে। অক্ষয় তৃতীয়া থেকেই তাদের রথ তৈরি করা শুরু হয়। “রথযাত্রা, লোকারণ্য, মহা ধুমধাম, ভক্তেরা লুটায়ে পথে করিছে প্রণাম।পথ ভাবে আমি দেব রথ ভাবে আমি, মূর্তি ভাবে আমি দেব- হাসে অন্তর্যামী।” পদ্মপুরাণে বর্ণিত আছে, মালবরাজ ইন্দ্রদ্যুম্ন বিষ্ণুর পরম ভক্ত ছিলেন৷ তিনি গড়ে তুলেছিলেন একটি মন্দির, নাম শ্রীক্ষেত্র যা এখন জগন্নাথধাম হিসেবে পরিচিত। শাস্ত্রে রয়েছে, “রথস্থ বাম নং দৃষ্টাপুনর্জন্ম ন বিদ্যতে”৷ অর্থাৎ রথের উপর অধিষ্ঠিত বামন জগন্নাথকে দর্শন করলে তাঁর পুনর্জন্ম হয় না৷ তাই রথের দড়ি টানাকেও পুণ্যের কাজ হিসাবে গণ্য করেন ধর্মপ্রাণ হিন্দুরা।