সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য সুখবর, এই কার্ড করলেই বাঁচবে খরচ! জেনে রাখুন

সিনিয়র সিটিজেনদের বিরাট সুযোগ করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এর মাধ্যমে একজন প্রবীণ নাগরিক বিভিন্ন দিক থেকে সুযোগ সুবিধা পাবেন।

author-image
Probha Rani Das
New Update
senior citizenq3.jpg

ফাইল ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ দেশের মানুষদের সুবিধার্থে সরকারের তরভে বিভিন্ন স্কিম এবং কার্ড চালু করা হয়েছে। দেশে বিনামূল্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ থেকে শুরু করে বিনামূল্যে গ্যাস সরবরাহের ব্যবস্থা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এবার দেশের প্রবীণ নাগরিকদের সুবিধার জন্য এক নতুন কার্ড চালু হয়েছে। দেশের বিপুল সংখ্যক প্রবীণ নাগরিক এবং তাদের দৈনন্দিন সমস্যার কথা ভেবে সরকার সিনিয়র সিটিজেন কার্ড তৈরি করেছে।

senior citizenq1.jpg

৬০ বছরের বেশি বয়সী প্রবীণ নাগরিকদের জন্য সিনিয়র সিটিজেন কার্ড তৈরি করা হয়েছে যাকে সিনিয়র সিটিজেন আইডি কার্ডও বলা হয়। এই কার্ডটি এক ধরনের পরিচয়পত্র। সিনিয়র সিটিজেন কার্ডের মাধ্যমে ৬০ বছরের বেশি প্রবীণ নাগরিকদের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয়। এই কার্ডের মাধ্যমে তারা উপকৃত হয়ে থাকে। প্রবীণ নাগরিকরা সরকারি প্রকল্পের পাশাপাশি বেসরকারি প্রকল্পগুলিতেও এই কার্ডের সুবিধা পেতে পারে।

সরকারের দ্বারা প্রণোদিত সিনিয়র সিটিজেন আইডি কার্ডে ৬০ বছরের বেশি প্রবীণ নাগরিকের রক্তের গ্রুপ, জরুরি যোগাযোগের নম্বর, মেডিক্যাল বিবরণ দেওয়া থাকে। সিনিয়র সিটিজেন আইডি কার্ড তৈরি করার জন্য ৬০ বছরের বেশি প্রবীণ নাগরিকদের রাজ্য সরকারের দেওয়া অনলাইন ওয়েবসাইটে আবেদন করতে হবে। এক্ষেত্রে আবেদন যাচাইয়ের প্রক্রিয়া বাধাহীন ভাবে সম্পন্ন করতে সিনিয়র সিটিজেন আইডি কার্ডে আবেদনের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রও জমা করতে হবে।

senior citizenq2.jpg

সিনিয়র সিটিজেন আইডি কার্ডের জন্য আবেদন করতে পাসপোর্ট, প্যান কার্ড, স্কুল ছাড়ার শংসাপত্র দেওয়া যেতে পারে। এক্ষেত্রে প্রমাণস্বরূপ আবেদনকারীর নামে থাকা রেশন কার্ড, পাসপোর্ট, ভোটার কার্ড, বিদ্যুৎ বা ফোন বিলের নথিপত্র দিতে হবে। আবেদনকারীর রক্তের রিপোর্ট, ওষুধ ও অ্যালার্জির রিপোর্ট দেওয়াও বাধ্যতামূলক।

আবেদনকারীকে সিনিয়র সিটিজেন আইডি কার্ড তৈরি করতে গেলে রাজ্য সরকারের ওয়েবসাইটে আবেদন করতে হবে। আবেদনের ফর্মটি শুধুমাত্র রাজ্য সরকারের ওয়েবসাইটে পাওয়া যায়। তবে এই কার্ডের মাধ্যমে আগে প্রবীণ নাগরিকদের যানবাহনের ভাড়ায় ছাড় দেওয়া হলেও এখন তা বন্ধ হয়ে গেছে। বিমানের টিকিটে ছাড় দেওয়া হয়। এই কার্ডের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের থেকে এফডিতে বেশি সুদ পাওয়া যায়। এছাড়াও এই কার্ডের মাধ্যমে একজন প্রবীণ নাগরিক সরকারি হাসপাতালে এবং বেসরকারি হাসপাতালে তুলনামূলক কম খরচে চিকিৎসা পেতে পারে।