নিজস্ব সংবাদদাতা: পঞ্চায়েত ভোটের আগে তৃণমূলে জোর ধাক্কা। বলাগড়ের বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী দলীয় পদ ছাড়ার কথা ঘোষণা করলেন। ফেসবুকে একটি লেখা পোস্ট করেছেন তিনি। আর সেখানেই দলীয় পদ ছাড়ার কথা ঘোষণা করেছেন তিনি।
তিনি বলেছেন, “বিধায়ক পদ থেকেও ইস্তফা দেবার ইচ্ছা ছিল। কিন্তু যেহেতু আগে আমি একটি চাকরি করতাম, নির্বাচনে দাঁড়াবার জন্য সেটি ছাড়তে হয়েছিল! দু’বছরের অধিক সময় হয়ে গেল পঞ্চাশ বার ছোটাছুটি করেও যার পেনশন ও গ্র্যাচুইটির কিছুই পাইনি, তাই এই মুহূর্তে বিধায়ক পদ ছাড়তে পারছি না। তা হলে খাবো কী? যেদিন পেনশন পেতে আরম্ভ করব এই পদ থেকেও সরে দাঁড়াব। এতদিনে বুঝতে পেরেছি এই রাজনীতি আমার মতো মানুষের জন্য নয়”।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই টিকিট দেওয়া প্রসঙ্গেও ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছিলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। আর এবার পদ ছাড়ার সিদ্ধান্তই নিয়ে নিলেন মনোরঞ্জন ব্যাপারী।
তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও মনোরঞ্জন বিভিন্ন বিষয়ে মুখ খুলেছেন। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বলাগড়েরই এক নেতার বিরুদ্ধে টাকা নিয়ে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ তুলেছিলেন। এবার পদ ছাড়ার জন্য ফেসবুকে পোস্ট করলেন।
এক্ষেত্রে হুগলির শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল সভাপতি অরিন্দম গুঁইন বলেন, “আমরা ওনার লেখা চিঠি কিছুই পাইনি। ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছেন শুধু। দলকে লিখিত দলকে লিখিত কিছু জানাননি। কি কারণে ইস্তফা দিচ্ছেন জানা নেই”।
তবে তাঁর এদিনের এই পোস্টের পরই তিনি আরও একটি লেখা পোস্ট করেন। যেখানে তাঁর বই প্রকাশনার বিষয়টি জানিয়ে তিনি বলেন, “এই আমি, এই আমার আসল পরিচয়। আসল স্থান।”
তাঁর একটি কথায় বুঝিয়ে দিচ্ছে যে তিনি ঠিক কি বোঝাতে চাইছেন। তবে দলের প্রতি কেন এতোটা অভিমান তিনি জমিয়ে রাখলেন, তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন।