নিজস্ব সংবাদদাতাঃ সারা দেশ জুড়ে মহা ধুমধামের সাথে পালন করা হয়ে থাকে দোল পূর্ণিমা বা হোলি। বসন্তকালের এই উৎসবের জন্য আমরা সারা বছর অপেক্ষা করে থাকি। দেশ জুড়ে আবির খেলায় মেতে ওঠেন সকলে।
বসন্তের প্রেমের মরশুমে রঙে আরও রঙিন হয়ে ওঠে মনপ্রাণ। বহু বছর ধরে এই হোলি বা বসন্ত উৎসব দেশের নানা জায়গায় নানা ভাবে পালন করা হয়ে থাকে। তবে সব উৎসবেরই এক সূচনা হয়ে থাকে, তাই জানেন কি এই হোলি বা দোল উৎসবের সূচনা কীভাবে হয়েছিল ? আসুন জেনে নিই।
হোলি বা রঙের উৎসব বলতেই সবার আগে মনে আসে ভগবান রাধাকৃষ্ণের কথা। আমরা রাধাকৃষ্ণের বৃন্দাবনের হোলি খেলার কথা শুনেছি। তবে আসল ঘটনার কথা আমরা জানি না হয়তো অনেকেই। তাই আসুন আগে জেনে নিই।
পুরাণ অনুসারে জানা যায় যে, মা যশোদার সাহায্যে শ্রীকৃষ্ণ রাধারানীকে নিজের রঙে এঁকেছিলেন। এক কিংবদন্তি অনুসারে জানা যায় যে, শ্রীকৃষ্ণ সর্বদা তার মাকে তার কালো বর্ণ নিয়ে প্রশ্ন করতেন। একদিন মা যশোমতি তাকে পরামর্শ দিলেন যে, তিনি যদি রাধার মুখে রঙ লাগান তাহলে রাধার গায়ের রঙও কানহার মতো হয়ে যাবে। এই পরামর্শ শুনে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ রাধার গায়ে রঙ লাগানোর প্রস্তুতি শুরু করলেন।
শ্রীকৃষ্ণ যশোদা মায়ের এই পরামর্শটিকে খুব পছন্দ করেছিলেন এবং তার গোয়াল বন্ধুদের সাথে মিলে কিছু অনন্য রঙ তৈরি করেছিলেন। যাতে তিনি রাধা রানীকে সেই বিশেষ রঙে রাঙাতে চেয়েছিলেন। রাধারানীকে রঙ দিতে ব্রজে পৌঁছে গিয়েছিলেন তিনি।
জানা যায় যে, শ্রীকৃষ্ণ তাঁর বন্ধুদের সাথে রাধা এবং তাঁর সখীদেরও পুরোদমে রঙ মাখান। ব্রজের লোকেরা তাঁর দুষ্টুমিও খুব পছন্দ করেছিল এবং তখন থেকেই রঙের হোলি উৎসবের সূচনা শুরু হয়েছিল বলে বিশ্বাস করা হয়। তাই আজও একই উত্সাহে এত বছর পরেও হোলি বা দোল উৎসব পালিত হয় সারা দেশ জুড়ে।