নিজস্ব সংবাদদাতা : রাত পেরলোই বৈশাখের আগমন। নববর্ষ উদযাপনে মাতবে আপামোর বাঙালি। ব্যবসায়ীদের কাছে নববর্ষ মনেই হালখাতা। দোকানে হালখাতা করতে গিয়ে ক্যালেন্ডার আর মিষ্টির বাক্স নিয়ে ফেরার অভিজ্ঞতা সকলেরই কম বেশি রয়েছে। বছরের শুরুর দিন হই হুল্লোর হবে না তা কখনও হয়? আর হই হুল্লোর অসম্পূর্ণ পেট পুজো ছাড়া। বাঙালিয়ানা বজায় রেখে নববর্ষে মাছে ভাতে বাঙালির পাতে পড়ুক মাছ-ভাত। মাছের মধ্যে যদি থাকে ভেটকি তাহলে কেমন হয়? ভেটকি মাছ দিয়ে বানিয়ে ফেলুন পাতুরি। রইলো রেসিপি।
/)
উপকরণ - ১. পাতুরির মাপে ভেটকি ফিলে পাঁচ টুকরো, ২. প্রয়োজন অনুযায়ী সরষের তেল, ৩. প্রয়োজন অনুযায়ী নুন, ৪. ৩ টেবিল চামচ পোস্ত, ৫. অর্ধেক কাপের থেকে একটু বেশি নারকেল কোরা, ৬. আড়াই চামচ হলুদ গুঁড়ো, ৭. কলাপাতা, ৮. দুটো কাঁচালঙ্কা বাটা ( যদি কেউ ঝাল খেতে বেশি পছন্দ করেন তাহলে এর থেকে বেশি নিতে পারেন), ৯. ২ টেবিল চামচ সরষে।
প্রণালী - প্রথমে ভেটকি মাছের ফিলে গুলো নুন হলুদ মাখিয়ে কিছুক্ষণ রাখুন। এরপর কড়াইতে অল্প তেল দিয়ে ভেটকি মাছ গুলি হালকা করে একটু নেড়েচেড়ে নিন। এরপর দুটো কাঁচালঙ্কা, সরষে, পোস্ত ও নারকেল কোরা অল্প জল দিয়ে একসাথে বেটে নিন। এরপর ভেটকি মাছের ফিলেতে এই মশলা অল্প করে মাখিয়ে দেড় থেকে দুই ঘন্টার জন্য ফ্রিজে রেখে দিন। এর ফলে মশলাগুলো মাছের ভেতরে ঢুকে যাবে।দেড় থেকে দুই ঘন্টা পর ফ্রিজ থেকে ভেটকি মাছের ফিলে গুলি বার করে নিতে হবে ও আগে থেকে কেটে রাখা কলাপাতা গুলো অল্প আঁচে ভালো করে সেঁকে নিতে হবে। এইবার সেঁকে নেওয়া কলা পাতার উপরে এক চামচ মশলা ও মশলার ওপরে একটি করে ভেটকি মাছের ফিলে রেখে তার উপরে আবারও এক চামচ মশলা দিয়ে আস্তরন মতো করে দিতে হবে। এরপর এরমধ্যে গোটা চেরা কাঁচা লঙ্কা ও অল্প কাঁচা সরষের তেল দিয়ে কলাপাতাগুলো সুতো দিয়ে মুড়ে দিন। কলাপাতাগুলি ভালো করে মুড়ে নেওয়ার পর একটি ননস্টিক প্যান নিয়ে আঁচ কমিয়ে তাতে অল্প তেল দিতে হবে। এরমধ্যে ভেটকি মাছ ভর্তি কলাপাতা গুলি একেক করে ছেড়ে দিতে হবে। কলা পাতাগুলো ভেজে কালচে হয়ে গেলেই বুঝবেন ভেটকি পাতুরি তৈরি।