হাবিবুর রহমান, ঢাকাঃ বাংলাদেশে বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি ও চট্টগ্রামের পাহাড়িদের প্রধান সামাজিক ও ধর্মীয় বৈসাবি উৎসব শুরু হয়েছে। বাংলা বর্ষের শেষ দিন চাকমারা ‘ফুল বিজু’, ত্রিপুরারা ‘হাঁড়িবসু’ আর মারমা সম্প্রদায়ে ‘সূচিকাজ’ নামে পালন করে যা ‘ফুল বিজু’ নামে সর্বাধিক পরিচিত। মঙ্গলবার নদীতে গঙ্গা দেবীর উদ্দেশে ফুল পূজা করে পাহাড়িরা ফুল বিজু উদযাপন করে। মঙ্গলবার ভোরে খাগড়াছড়ি সদরের খবংপুজ্যা এলাকা দিয়ে চেঙ্গী নদীতে ফুল দিতে শতশত চাকমা শিশু-কিশোর, তরুণ-তরুণী, বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষ ভিড় জমান। সূর্যোদয়ের আগেই চাকমারা দলে দলে নদীর তীরে সমবেত হন।
কেউ একাকি আবার অনেকে সারিবদ্ধ হয়ে নদীতে নানা রংয়ের ফুল উৎসর্গ করেন। যেন রঙিন হয়ে ওঠে চেঙ্গী নদী। এছাড়া শহর, শহরতলীর বিভিন্ন খাল ও প্রাকৃতিক ছড়াও ফুলে ফুলে ভরে যায়। ছোট্ট শিশুরা নদীতে আনন্দ-উল্লাস করে নতুন বছরকে আহ্বান জানায়। এর আগে তারা ফুল সংগ্রহ করেন।
আজ বুধবার ত্রিপুরারা ‘বৈসু’ ও পহেলা বৈশাখ মারমারা ‘সাংগ্রাই’ উৎসব শুরু হয়েছে। ত্রিপুরাদের ‘গরয়া নৃত্য’ আর মারমাদের ‘পানি উৎসব’ বাংলাদেশের পাহাড়ে বর্ষবরণের অন্যতম আকর্ষণ। এই উৎসব ১৬ এপ্রিল মারমা সম্প্রদায়ের ‘জলকেলি’র মধ্য দিয়ে সাঙ্গ হবে। করোনার কারণে গত দুই বছর উৎসবটি সেভাবে হয়নি। বিশ্ব যেন করোনা মুক্তি পায়, সেই প্রার্থনা করা হয় মা গঙ্গা দেবীর কাছে। পৃথিবী যেন ভালো হয়ে ওঠে এমনাটাই প্রত্যাশা।