হাবিবুর রহমান, ঢাকা: 'পাপীকে নয়, ঘৃণা করো পাপকে'। আর ‘ঘৃণা নয়, ভালোবাসো’ ‘সদা দীপ্ত রহে অক্ষয় জ্যোতির্ময়’-এই আহ্বান নিয়ে দুই হাজার বছর আগে এই শুভ দিনে পৃথিবীকে আলোকিত করে জন্মগ্রহণ করেন খ্রিস্টধর্মের প্রবর্তক যীশু খ্রীষ্ট । বেথেলহেমের এক গোয়ালঘরে কুমারীমাতা মেরির কোলে জন্ম হয়েছিল যিশুর।
তবে খ্রিস্ট ধর্মালম্বীদের বিশ্বাস, সৃষ্টিকর্তার মহিমা প্রচার, মানবজাতিকে সত্য ও ন্যায়ের পথে পরিচালিত করতে প্রভু যিশুর আগমন ঘটে। সারাবিশ্বের মতো বাংলাদেশের খ্রিস্টান ধর্মানুসারীরাও সামাজিক দূরত্ব বজায় ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে যথাযথ ধর্মীয় আচার, আনন্দ-উৎসব ও প্রার্থনার মধ্য দিয়ে দিনটি উদযাপন করছেন। বড় দিন উপলক্ষে বাড়িঘর নানা রঙের আলোয় সাজিয়েছেন তারা। ঢাকার হোটেল সোনারগাঁও, শেরাটন, র্যাডিসন, ইন্টারকন্টিনেন্টাল, ওয়েস্টিনেও চোখ ধাঁধানো আলোকসজ্জা ও আলো ঝলমলে ক্রিসমাস ট্রি বসিয়ে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়।
বড় দিন উপলক্ষে শুক্রবার রাতেই ঢাকার কাকরাইল ও তেজগাঁও ক্যাথলিক গির্জায় বড়দিনের বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়। গির্জা ও তার আশপাশ সাজানো হয়েছে রঙিন বাতিতে। ভেতরে সাজানো হয়েছে আলো ঝলমলে ক্রিসমাস ট্রি।
ক্রিসমাস উপলক্ষে খ্রিস্টান পরিবারগুলোতে তৈরি হয়েছে সুস্বাদু কেক, রয়েছে বিশেষ খাবারের আয়োজন। বাংলাদেশের অনেক অঞ্চলে কীর্তনের পাশাপাশি ধর্মীয় গানের আসর বসানো হয়েছে।
বড়দিন উপলক্ষে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন। এছাড়াও বাংলাদেশ খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের লোকজনকে প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে।