নিজস্ব সংবাদদাতাঃ
গরম সেঁক
কানে গরম সেঁক নিলে প্রবল ব্যথাতে আরাম পাওয়া যায়। কান থেকে পুঁজ বেরোতে দেখলে গরম সেঁক নিন। তাতে কানের ভিতরে জমে থাকা পুঁজ বেরিয়ে যাবে, ব্যথার বোধও কম হবে। গরমজলে পরিষ্কার কাপড় ভিজিয়ে নিংড়ে নিন। তারপর যে কানে ব্যথা, তার উপরে ভেজা কাপড়টা দিয়ে মিনিট দুই রাখুন। তারপর মাথা অন্যদিকে কাত করে পুঁজটা বেরিয়ে যেতে দিন।
হাইড্রোজেন পারক্সাইড ড্রপ
যে কোনও ওষুধের দোকানে হাইড্রোজেন পারক্সাইড পাবেন। কানের ইনফেকশন কমিয়ে পুঁজ শুকোতে দারুণ ভালো কাজ করে এই দ্রবণটি। ড্রপারে করে তিন-চার ফোঁটা দ্রবণ ব্যথার কানে দিয়ে ওভাবেই শুয়ে থাকুন কিছুক্ষণ। তারপর মাথা অন্যদিকে কাত করে কানের ভিতরের তরলটা বের করে দিন। দিনে বেশ কয়েকবার করতে পারেন। ধীরে ধীরে সংক্রমণ কমে ব্যথাও কমে যাবে।
ভিনিগার সলিউশন
ভিনিগারের অ্যাসিড কানের সংক্রমণ কমাতে পারে। সমপরিমাণে সাদা ভিনিগার আর রাবিং অ্যালকোহল নিন একটা পাত্রে। ড্রপার দিয়ে সংক্রমিত কানে দু' তিন ফোঁটা দিন। পাঁচ মিনিট ওভাবেই শুয়ে থাকুন তারপর আগের মতোই মাথা অন্যদিকে কাত করে তরলটা কান থেকে বের করে দিন।
কান শুকনো রাখুন
স্নানের সময় কানে যেন কোনওরকম জল ঢুকতে না পারে, সেদিকে খেয়াল রাখতেই হবে। স্নান করতে যাওয়ার আগে কানে পেট্রোলিয়াম জেলি মাখানো তুলো গুঁজে নিন।
কান খোঁচাবেন না
কানে ব্যথা হলে আমাদের প্রথম প্রবণতাই হয় খোঁচাখুঁচি করার। তাতে সংক্রমণ আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। কানে কোনওরকম ইয়ারবাড, দেশলাই কাঠি, সেফটিপিন জাতীয় জিনিস ঢোকাবেন না, তাতে সমস্যা আরও জটিল হতে বাধ্য!
রসুনের তেল
অল্প অলিভ অয়েলে এক কোয়া রসুন অল্প থেঁতো করে গরম করুন। তেল গরম হলে ছেঁকে নিয়ে তা সংক্রমিত কানে দু'তিন ফোঁটা দিন। বারকয়েক এমন করলে একটু আরাম পাবেন।
নিমের রস
নিমপাতা ভালো করে ধুয়ে থেঁতো করে নিন। নিমপাতার এই রসটা কানে দিতে পারেন। অথবা নিমের তেলে তুলো ভিজিয়ে নিংড়ে কানে কয়েক মিনিট দিয়ে রাখুন। নিমে ব্যথা কমানোর গুণ রয়েছে যা কান ব্যথাতেও ফল দেয়।