নিজস্ব সংবাদদাতাঃ মিয়ানমারের মুসলিম সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে জাতিগত নিধনের অভিযোগে অভিযুক্ত মিয়ানমারের সেনাবাহিনীকে যুক্তরাষ্ট্র ও থাইল্যান্ডের যৌথ সভাপতিত্বে আঞ্চলিক সামরিক বৈঠকে অংশ নিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনী ২০১৭ সালে একটি সামরিক অভিযান শুরু করে, যার ফলে অন্তত ৭ লাখ ৩০ হাজার মুসলিম রোহিঙ্গা তাদের বাড়িঘর ছেড়ে প্রতিবেশী বাংলাদেশে চলে যেতে বাধ্য হয়, যেখানে তারা হত্যা, গণধর্ষণ ও অগ্নিসংযোগের কথা বর্ণনা করে। ২০২১ সালে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে। গত বছর প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন আনুষ্ঠানিকভাবে নির্ধারণ করে যে, মিয়ানমারের সেনাবাহিনী রোহিঙ্গা সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে যে সহিংসতা চালিয়েছে তা গণহত্যা ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের শামিল। সামরিক বাহিনী গণহত্যার কথা অস্বীকার করে বলেছে, হামলা চালানো রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের লক্ষ্য করে তাদের অভিযান চালানো হয়েছে। পেন্টাগনের মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল মার্টি মেইনার্স বলেন, 'মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের পর সহিংসতা বন্ধ, অন্যায়ভাবে আটক সবাইকে মুক্তি এবং এডিএমএম-প্লাস ফোরামের মাধ্যমে গণতন্ত্রের পথ পুনরুদ্ধারের আহ্বান জানাতে যুক্তরাষ্ট্র আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে জোরালো প্রতিক্রিয়া অব্যাহত রেখেছে।'