New Update
হাবিবুর রহমান, ঢাকাঃ বাংলাদেশে রবিবার হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব লক্ষ্মীপূজা উদযাপন হয়েছে। এটি কোজাগরী লক্ষ্মীপূজা নামেও পরিচিত। শারদীয় দুর্গোৎসব শেষ হওয়ার পরবর্তী পূর্ণিমা তিথিতে লক্ষ্মীপূজা উদযাপন করা হয়। পঞ্জিকা অনুসারে, রবিবার ছাড়াও সোমবার সকাল পর্যন্ত লক্ষ্মীপূজা হবে। এই পূজা চলবে বুধবার পর্যন্ত।
লক্ষ্মীপূজা উপলক্ষে রবিবার সারা বাংলাদেশের বিভিন্ন মন্দির ও মণ্ডপের পাশাপাশি হিন্দুদের ঘরে ঘরে পূজার আনুষ্ঠানিকতা শেষে অঞ্জলি, প্রসাদ বিতরণ ও অতিথি আপ্যায়ন করা হয়েছে। ঢাকার ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির, রামকৃষ্ণ মিশন ও মঠ মন্দির, রামসীতা মন্দির, পঞ্চানন্দ শিব মন্দির, গৌতম মন্দির, রাধা মাধব বিগ্রহ মন্দির, রাধা গোবিন্দ জিও ঠাকুর মন্দির, পুরান ঢাকার শাঁখারীবাজার, তাঁতিবাজার, সূত্রাপুর, ফরাশগঞ্জ, লক্ষ্মীবাজার, উত্তরখানের মৈনারটেকসহ বিভিন্ন এলাকায় ঘরোয়া পরিবেশে লক্ষ্মীপূজার আয়োজন হয়। ঢাকার বাহিরে ভাওয়াল রাজার অধ্যুষিত এলাকা গাজীপুর, নরসিংদী, নারায়ণগঞ্জ এলাকায় এই পূজা সাড়ম্বরে পালিত হয়েছে।
লক্ষ্মী ঘরে ঘরে ধনসম্পদ তথা ঐশ্বর্যের দেবী হিসেবে পূজিত হন। এছাড়া উন্নতি, আলো, জ্ঞান, সৌভাগ্য, দানশীলতা, সাহস ও সৌন্দর্যের দেবীও তিনি। বছরের সবচেয়ে উজ্জ্বল রাত আশ্বিনের পূর্ণিমা তিথিতে ধনসম্পদ, প্রাচুর্য, সৌন্দর্য ও সমৃদ্ধির দেবী লক্ষ্মী বিষুষ্ণলোক থেকে পৃথিবীতে নেমে আসেন পূজা নিতে। লক্ষ্মী দেবী সন্তুষ্ট থাকলে সংসারে অর্থকষ্ট থাকে না, বরং সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য বাড়ে। মানুষের দুয়ারে দুয়ারে গিয়ে দেবী প্রশ্ন করেন, কে জেগে আছো? তাই লক্ষ্মীপূজা ভক্তদের কাছে কোজাগরী পূজাও।
লক্ষ্মী দেবী দ্বিভূজা ও তার বাহন প্যাঁচা এবং হাতে থাকে শস্যের ভান্ডার। তবে ঢাকার বাইরে লক্ষ্মীর চতুর্ভূজা কমলে-কামিনী মূর্তিই বেশি দেখা যায়। প্রায় প্রতিটি বাঙালি হিন্দুর ঘরেই লক্ষ্মীপূজা করা হচ্ছে। এ উপলক্ষে হিন্দু নারীরা উপবাস ব্রত পালন করেন। এই পূজায় প্রয়োজন হয় ধানের শিষ, কাঁচা সুপারি, কলাপাতা, কলাগাছের খোল, আল্পনাসহ নানা সামগ্রী। মঙ্গলঘট ও ধানের ছড়ার সঙ্গে গৃহস্থের আঙিনায় আজ শোভা পাচ্ছে চালের গুঁড়ো, আল্পনায় মা লক্ষ্মীর ছাপ। মা লক্ষ্মীর পায়ের ছাপের আল্পনা আঁকা হয়েছে বহু বাড়ির প্রবেশপথে ও আঙিনায়।
lakshmi puja 2022
property
dhaka
money
lakshmi puja
festival
Purnima
temple
bangladesh
lakshmi idol
hindu comunity