ঋতুস্রাবের সময়ে কী কী আসন করলে তলপেটে যন্ত্রণা হবে না ?

ঋতুকালীন সময়ে পেটের যন্ত্রণা যেমন ভোগায়, তেমনই মনমেজাজেও বিভিন্ন বদল আসে। শরীরে অস্বস্তি হয়। এই সময়ে কিছু যোগাসন করলে যাবতীয় সমস্যা দূর হতে পারে।

ঋতুস্রাব

ঋতুস্রাব চলাকালীন এমন কিছু যোগাসন করা যায়, যা পেটের যন্ত্রণা তো দূর করবেই, ঋতুস্রাবের সময়কার শারীরিক অস্বস্তি ও ঘন ঘন মেজাজ বদলে যাওয়া থেকেও রেহাই দেবে। শরীর অনেক চনমনে থাকবে।

গোমুখাসন

সোজা হয়ে ম্যাটের উপর বসুন। দুই পা সামনে ছড়ানো থাকবে। এ বার বাঁ পা মুড়ে গোড়ালি নিতম্বের কাছে আনুন। তার পর ডান পা বাঁ পায়ের উপর এমন ভাবে রাখুন, যাতে দুই হাঁটু পরস্পরকে স্পর্শ করে থাকে। এ বার শ্বাস টেনে ডান হাত উপরে তুলে শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে হাতটি পিঠের দিকে মুড়ুন। বাঁ হাতকে পিঠের পিছনে এমন ভাবে নিয়ে যান, যাতে সেটি ডান হাতকে ধরতে পারে। সেই ভঙ্গিতে ২০ সেকেন্ড থাকুন। শরীর টানটান থাকবে। প্রথম প্রথম এই আসন করতে সমস্যা হতে পারে। তবে ধীরে ধীরে অভ্যাস হয়ে গেলে তিন সেট করে করবেন। যে কোনও রকমের স্ত্রীরোগ সংক্রান্ত সমস্যা দূর করতে পারে এই আসন। নিয়মিত করলে ঘাড় পিঠ-সহ সমগ্র মেরুদণ্ডের সংলগ্ন পেশি সচল থাকবে।

বালাসন

হাঁটু মুড়ে গোড়ালির উপর বসুন। এ বার শরীর সামনের দিকে ঝোঁকান। বুক যেন ঊরুতে গিয়ে ঠেকে। মাথা মেঝেতে রাখুন। দুই হাত সামনের দিকে প্রসারিত করে রাখুন। শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক থাকবে। এই ভাবে ২০ সেকেন্ড থেকে আগের অবস্থানে ফিরে আসুন। তিন সেট করে করতে হবে এই ব্যায়াম। পেট ও তলপেটের খুব ভাল ব্যায়াম হবে। ঋতুকালীন সময়ে পেটের যন্ত্রণা হবে না।

ধনুরাসন

ম্যাটের উপর উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ুন। দুই হাঁটু ভাঁজ করে গোড়ালি দুটো নিতম্বের উপর আনুন। এ বার দুই হাত দিয়ে দুই পায়ের গোড়ালি ধরুন। তার পর ধীরে ধীরে সে ভঙ্গিমাতেই ঊরু দুটি উপরের দিকে তুলুন। শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক থাকবে। পিছনের অংশ উঠে যাওয়ার পরে, শরীরের সামনের দিক অর্থাৎ মুখ থেকে বুক অবধি উপরে তুলুন। পেটের অংশ মাটিতেই থাকবে। শরীর টানটান রাখতে হবে। এই ভঙ্গিতে স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ে ২০-৩০ সেকেন্ড থাকুন। তার পর ধীরে ধীরে আগের ভঙ্গিতে ফিরে যান। এই আসনে ব্যথাবেদনা কমবে। পেশির জোর বাড়বে। মনও ভাল থাকবে।

কন্ধরাসন

ম্যাটের উপর টানটান হয়ে শুয়ে পড়ুন। এ বার হাঁটু ভাঁজ করুন। দুই হাত থাকবে গোড়ালির কাছে। শ্বাস নিয়ে নিতে কাঁধ ও পায়ে ভর দিয়ে কোমর ও পিঠ মাটি থেকে যতটা পারবেন, তুলুন। মাথা, ঘাড় ও কাঁধ যেন মাটিতে ঠেকে থাকে। ওই ভঙ্গিতে ২০ সেকেন্ড থেকে আবার আগের অবস্থানে ফিরে আসুন।