মা হওয়ার জন্য শরীরকে উপযুক্ত করে তোলা প্রয়োজন, ডায়েটে থাক এগুলি

মা হতে গেলে খাওয়াদাওয়ার উপরও নজর রাখা জরুরি।

মা হওয়া মুখের কথা নয়। বিশেষ করে আজকের দিনে, ব্যস্ততায় ভরা জীবনে মা হওয়ার বেশ কষ্টকর। কেরিয়ার, সংসার সব সামলে নতুন সদস্যের জন্যও আলাদা করে ভাবনা-চিন্তা। আবার নিজের শরীরকে মা হওয়ার উপযুক্ত করে তোলার দায়িত্বও রয়েছে। অনিয়মিত জীবন যাপনে ওজন ক্রমশই বাড়তে থাকে। ফলে মা হওয়ার আগে সবার আগে ওজন কমানোর পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। খাবার দাবারে বিশেষ নজর দিতে বলেন।

আয়রন সমৃদ্ধ খাবার

মা হওয়ার সময় ডায়েটে রাখুন আয়রন সমৃদ্ধ খাবার। অক্সিজেন বাহক লোহিত কণিকার জন্য এই আয়রন অত্যন্ত জরুরি। এতে মা হওয়ার সম্ভাবনা যেমন বাড়ে, এনার্জি জোগায় শরীরকে। প্রাপ্তবয়স্ক মহিলাদের রোজ ১৭ mg আয়রন খাওয়া উচিত, গর্ভবতী মহিলাদের রোজ ২৭ mg. বাচ্চাকে স্তন্যপান করানোর সময় ৯ mg. তাই ডায়েটে ডিম, মাংস, মাছ, পনির, ডাল, বিনস, বাদাম, ড্রাইফ্রুটস, ফল রাখতে পারেন। এতে অ্যানিমিয়ার ঝুঁকি থাকবে না, সঙ্গে অভুলেশনেও কোনও প্রভাব পড়বে না। তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

জিঙ্ক সমৃদ্ধ খাবার

জিঙ্ক সমৃদ্ধ খাবারের উপর জোর দিন। শরীরে জিঙ্কের ঘাটতি থাকলে ডিম্বাণুর উপর প্রভাব পড়ে। শুধু মহিলারাই নন, সন্তানের জন্য প্রস্তুতি নিলে পুরুষদেরও জিঙ্ক সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত। এক্ষেত্রে চিকেন, মাশরুম, ডার্ক চকোলেট, বাদাম, কুমড়ো, শাক, অয়েস্টার রাখতে পারেন ডায়েটে। মহিলাদের ৮ mg, পুরুষদের ১২ mg জিঙ্ক প্রয়োজন রোজ। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী এগোন।

প্রোবায়োটিক্স

ডায়েটে প্রোবায়োটিক্স রাখতে পারেন, যা আসলে গুড ব্যাকটিরিয়া। হজম ক্ষমতা বাড়ে, ডায়রিয়ার ঝুঁকি থাকে না। হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্যও ভাল থাকে। অ্যালার্জি এবং এগজিমার ঝুঁকিও কমে। এক্ষেত্রে ডায়েটে রাখুন দই, চিজ, ঘোল, সবুজ মটর, আপেল। বিশেষজ্ঞকে দিয়ে চার্ট বানিয়ে নিন।