বর্ষাকালে সুস্থ থাকতে চাইলে কোন কোন খাবার খাবেন না? দেখে নিন তালিকা

সামুদ্রিক খাবার বিশেষ করে সামুদ্রিক মাছ বর্ষার মরশুমে এড়িয়ে চলতে পারলেই স্বাস্থ্যের পক্ষে মঙ্গল। এছাড়াও বর্ষার মরশুমে অতিরিক্ত মশলাদার এবং ঝাল খাবার না খাওয়াই ভাল।

সবুজ রঙের শাকপাতা জাতীয় সবজি

বর্ষার মরশুমে শাকপাতা জাতীয় সবজি কম খাওয়া ভাল। বিশেষ করে শাক জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে পারলে ভাল। কারণ এই জাতীয় খাবার এড়িয়ে চললে সুস্থ থাকবেন আপনি। এইসব সবুজ রঙের শাকপাতা জাতীয় সবজির মধ্যে বর্ষায় জন্মাতে পারে ব্যাকটেরিয়া। তার থেকে দেখা দিতে পারে মারাত্মক পেটের সমস্যা। প্রবলভাবে পেটে ইনফেকশন হয়ে যেতে পারে আপনার। তাই শাকজাতীয় খাবার বর্ষার মরশুমে এড়িয়ে চলাই ভাল।

সামুদ্রিক খাবার

সামুদ্রিক খাবার বিশেষ করে সামুদ্রিক মাছ বর্ষার মরশুমে এড়িয়ে চলতে পারলেই স্বাস্থ্যের পক্ষে মঙ্গল। বর্ষায় জলবাহিত রোগ বেশি হয়। তাই সামুদ্রিক খাবার থেকে ইনফেকশন বা সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। বর্ষাকালে চিংড়ি বা অন্যান্য সামুদ্রিক মাছ খেলে পেটে ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। অতএব সতর্ক থাকুন। এই জাতীয় খাবার না খেলেই ভাল।

মশলাদার খাবার

বর্ষার মরশুমে অতিরিক্ত মশলাদার এবং ঝাল খাবার না খাওয়াই ভাল। অ্যাসিডিটির সমস্যা ভুগতে পারেন আপনি। বর্ষার মরশুমে আর্দ্র আবহাওয়া অনেকসময় খাবার সহজে হজম হতে দেয় না। সেক্ষেত্রে মশলাদার খাবার খেলে বদহজমের সম্ভাবনা বাড়তে পারে। হাল্কা সহজপাচ্য খাবার খেলে স্বাস্থ্য ভাল থাকবে আপনার। বদহজম, অ্যাসিডিটি, গ্যাসের সমস্যা হবে না।

টকদই

আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে বলা হয় বর্ষাকালে দই না খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল। বর্ষাকালে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমাতে পারে এই উপকরণ। দই খেলে বিশেষ করে টকদই খেলে বাড়তে পারে অ্যাসিডিটি হওয়ার প্রবণতা। এছাড়াও দই খেলে বর্ষার মরশুমে ঠান্ডা লেগে যেতে পারে আপনার। তাই যদি আপনার ঠান্ডা লাগার ধাত থাকে তাহলে বর্ষার দিনে দই না খাওয়াই আপনার স্বাস্থ্যের পক্ষে মঙ্গলজনক।