জানেন গান শুনলে আপনার কি কি উপকার হতে পারে ?
গান শোনার উপকারিতা যে কত, তা একবাক্যে মানেন চিকিৎসকেরাও। অনিদ্রার রোগীর চোখে নেমে আসতে পারে শান্তির ঘুম৷ উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় জেরবার মানুষ খুঁজে পেতে পারেন তার সমস্যার হাল!
গান শোনার উপকারিতা যে কত, তা একবাক্যে মানেন চিকিৎসকেরাও। অনিদ্রার রোগীর চোখে নেমে আসতে পারে শান্তির ঘুম৷ উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় জেরবার মানুষ খুঁজে পেতে পারেন তার সমস্যার হাল!
গানের সুর মস্তিষ্কের হাইপোথ্যালামাস অবধি পৌঁছয়। এটিই হল সব আবেগের কেন্দ্র। গানের সুরে হাইপোথ্যালামাস উদ্দীপিত হয়, কর্টিসল নামে ‘স্ট্রেস হরমোন’-এর ক্ষরণ কমে যায়। অতিরিক্ত উৎকণ্ঠাও বশে আসে। ফলে মনের যত রোগব্যধি তা ধীরে ধীরে কমতে থাকে।
পছন্দের গান বা সুর স্রেফ শুনে যান৷ দিনে বার চারেক মিনিট ১৫ করে শুনলেই হবে৷ একটানা শুনতে পারলে ভাল৷ না হলে খাওয়ার সময়, কাজের ফাঁকে, ঘুমনোর আগে শুনতে পারেন। হালকা সুরই শুনতে হবে। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, গানের সুরে ঘুম ভাল হয়। ঘুমের সময় মাথায় হাবিজাবি চিন্তা, উদ্বেগ আসে না।
হৃদস্পন্দন, নাড়ির গতি ও রক্তচাপ যদি বেড়ে যায়, তা হলে তা কমতে পারে গানের সুরেই। এক–আধ বারেই কষ্ট একেবারে কমে যায় এমন নয়, তবে দীর্ঘমেয়াদি অসুখের প্রকোপ থেকে রেহাই পাওয়া যায়। কারণ মন যত ভাল থাকবে, সুখী হরমোনের ক্ষরণ যত বাড়বে, ততই শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলি স্বাভাবিক ভাবে কাজ করবে। শরীরে রক্ত সঞ্চালনের মাত্রাও ঠিক থাকবে।
বিভিন্ন গবেষণা থেকে জানা গিয়েছে, রিউম্যাটয়েড আর্থ্রাইটিসের মতো কষ্টকর অসুখেও বিশেষ ভূমিকা আছে গানের। তাই তো এখন মিউজিক থেরাপির দিকে এত জোর দেওয়া হচ্ছে হাসপাতালগুলিতে। কেবল মনের চাপ কমানো নয়, বাতের ব্যথা-বেদনায় কাতর রোগীকেও আরাম দিতে পারে গান।
গান শুনলে মস্তিষ্কের বিভিন্ন অঞ্চল সক্রিয় হয়। স্নায়ুর চাপ কমে। স্মৃতিশক্তি প্রখর হয়। মনোযোগ ও একাগ্রতা বাড়ে। যে কোনও কাজেই উৎসাহ পাওয়া যায়।
{{ primary_category.name }}