নিজস্ব সংবাদদাতা: একটা লিঙ্কে ক্লিক করলেন। আর দেখলেন আপনার সব টাকা গায়েব হয়ে গেছে। অথবা ডেলিভারি বয়কে ওটিপি (OTP) দেবার সঙ্গে সঙ্গেই আপনার ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স শূন্য! এরকম ঘটনার শিকার হয়েছেন অনেকেই। বর্তমানে ইন্টারনেট জগতের উপর মানুষ এতটাই নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে যে ইন্টারনেট ছাড়া কিছু ভাবাই যায় না। আর নেট ব্যাঙ্কিং (Net Banking) আসার পর থেকে মানুষের সুবিধা যতটা হয়েছে, অনেক মানুষ আবার হ্যাকিং-এর (Hacking) শিকারও হয়েছে। প্রতারকরা নতুন সব কৌশল নিয়ে আসছেন যাতে নতুনভাবে হ্যাকিং করা যায়। আজকালকার দিনে যেহেতু ফোনের মাধ্যমেই হাজার হাজার টাকার লেনদেন করা যায়, সেই জন্য বিশেষভাবে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।
সাম্প্রতিককালে এমন অনেক ঘটনা সামনে এসেছে, যেখানে শুধুমাত্র ফোনে কথা বলতে বলতেই স্মার্টফোন (Smart Phone) ব্যবহারকারীর অ্যাকাউন্ট খালি হয়ে গেছে। অনেক সময় ফোন করে হ্যাকাররা এমন ভাবে কথা বলেন যেন তারা ব্যাঙ্কের কর্মচারী বা কর্মকর্তা। সেই সময় তারা স্মার্টফোন ব্যবহারকারীকে একটি অ্যাপ ডাউনলোড করতে বলেন। কিন্তু ভুলেও এই কাজটি করা উচিত নয়।
কারণ এই অ্যাপগুলি ভিপিএন (VPN) অ্যাপ। এর মাধ্যমে সহজেই হ্যাকাররা ফোনের সম্পূর্ণ অ্যাক্সেস নিয়ে নেয় এবং নিজেরাই সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
ফোন কলের সময় হ্যাকাররা প্রায় মেসেজ পাঠিয়ে বলেন তাতে লিঙ্ক (Link) দেওয়া আছে। তারা যেন সেই লিঙ্কে ক্লিক করেন। সেই লিঙ্কে কখনোই ক্লিক করা উচিত নয়। কারণ ভুয়ো লিঙ্ক থেকে আপনার ফোনের সমস্ত ডেটা (Data) হ্যাকারদের কাছে ট্রান্সফার হয়ে যেতে পারে।
কল চলাকালীন হ্যাকাররা যদি বলে যে প্রতিমাসে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে চার্জ কেটে নেওয়া হবে এবং সেই সেটিংটি বন্ধ করতে হবে আপনাকে। তবে হ্যাকাররা নিজেই ব্যাঙ্কের অ্যাপটি ধাপে ধাপে আপনাকে খুলতে বলে। এই কাজটি করলে আপনার ফোনের সমস্ত সেটিং হ্যাকার নিজেই নিয়ন্ত্রণ করে পরিবর্তন করতে পারবে।
হ্যাকারদের মূল উদ্দেশ্য থাকে আপনার অ্যাকাউন্ট হ্যাক ক'রে, আপনার সমস্ত ডেটা নিয়ে নেওয়ার। প্রতারকদের হাতে আপনার সমস্ত ডেটা একবার চলে গেলেই, আপনার অ্যাকাউন্ট একেবারে খালি হয়ে যেতে পারে। তাই এই ভুলগুলি কখনোই করা উচিত নয়। ভুয়ো ফোন কল থেকে সাবধান থাকা উচিত।