নিজস্ব সংবাদদাতাঃ বিজয় হাজারে ট্রফির গ্রুপ ‘ই’-র ম্যাচে আজ বরোদার বিরুদ্ধে নামে বাংলা। যে গ্রুপে আছে পঞ্জাব, তামিলনাড়ু, মধ্যপ্রদেশ, বাংলা, বরোদা, গোয়া এবং নাগাল্যান্ড। প্রথম ম্যাচ নাগাল্যান্ডকে হারানোর পরে আজ ‘শক্তিশালী’ বরোদার চ্যালেঞ্জ সামলে ৯৫ রানে জিতে গিয়েছেন অভিমন্যু ঈশ্বরন, সুদীপকুমার ঘরামিদের। সেই ম্যাচে মুম্বইয়ের ক্রিকেট ক্লাব অফ ইন্ডিয়ার মাঠে টসে জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বরোদার বিষ্ণু সোলাঙ্কি।
প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে আট উইকেটে ৩১৪ রান তোলে বাংলা। ১৩৮ বলে ১৪১ রান করেন অভিমন্যু। ৫৯ রান করেন অভিষেক। শেষে ১৪ বলে অপরাজিত ৩৫ রান করেন প্রদীপ্ত প্রামাণিক। যিনি বল হাতেও তিনটি উইকেট নেন। তিনটি উইকেট পান করণ লালও। তাঁদের সৌজন্যে ৪৪.২ ওভারে ২১৯ রানে অল-আউট হয়ে যায় বরোদা। সাত ওভারে মাত্র ২০ রান দিয়ে এক উইকেট নেন আকাশদীপ। সাত ওভারে ২৬ রান দিয়ে দুই উইকেট নেন মহম্মদ কাইফ।
বাংলার প্রথম একাদশে ছিলেন: সুদীপকুমার ঘরামি, অভিমন্যু ঈশ্বরণ, অভিষেক পোড়েল (উইকেটকিপার), অনুষ্টুম মজুমদার, শাহবাদ আহমেদ, ঋত্বিক রায়চৌধুরী, করণ লাল, সক্ষম চৌধুরী, প্রদীপ্ত প্রামাণিক, আকাশদীপ এবং মহম্মদ কাইফ। এবং বরোদার প্রথম একাদশে ছিলেন: বিষ্ণু সোলাঙ্কি (অধিনায়ক), মিতেশ প্যাটেল (উইকেটকিপার), জ্যোতস্নিল সিং, নিনাদ রথভা, শাশ্বত রাওয়াত, শিবালিক শর্মা, অতীত শেঠ, মহেশ পিথিয়া, লুকম্যান মেরিওয়ালা, শোয়েব সোপারিয়া এবং অভিমন্যু সিং রাজপুত।
সৈয়দ মুশতাক আলি ট্রফিতে ( টি২০) হতাশাজনক প্রদর্শনের পরে , যেখানে তারা গ্রুপ পর্বে বিধ্বস্ত হয়েছিল, তামিলনাড়ু বিজয় হাজারে ট্রফিতে ( ৫০ ওভার) একটি উন্নত পারফরম্যান্স দিতে আগ্রহী। তামিলনাড়ু, যারা আগের সংস্করণের কোয়ার্টার ফাইনালে হেরেছিল, তার নেতৃত্বে থাকবেন অভিজ্ঞ উইকেটরক্ষক-ব্যাটার দিনেশ কার্তিক।
২০২৩-২৪ সালে বিজয় হাজারে ট্রফিতে মোট ৩৮টি দল খেলছে। সেই দলগুলিকে পাঁচটি গ্রুপে ভাগ করা হয়েছে। গ্রুপ 'এ', গ্রুপ 'বি' এবং গ্রুপ 'সি'-তে আছে আটটি করে দল। গ্রুপ 'ডি' এবং গ্রুপ 'ই'-তে সাতটি করে দল আছে। অর্থাৎ বাংলার গ্রুপে সাতটি দল রয়েছে। পাঁচটি শহরে গ্রুপ লিগের ম্যাচ হচ্ছে - বেঙ্গালুরু, জয়পুর, আমদাবাদ, চণ্ডীগড় এবং মুম্বই। নক-আউট পর্যায়ের (দুটি প্রি-কোয়ার্টার ফাইনাল, চারটি কোয়ার্টার ফাইনাল, দুটি সেমিফাইনাল এবং ফাইনাল) সব ম্যাচ হবে রাজকোটে। ফাইনাল হবে আগামী ১৬ ডিসেম্বর। উল্লেখ্য, গতবার বিজয় হাজারে ট্রফিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল সৌরাষ্ট্র। ফাইনালে মহারাষ্ট্রকে পাঁচ উইকেটে হারিয়ে দিয়েছিল।