নিজস্ব সংবাদদাতাঃ মাঝে কদিন ধামাচাপা পড়ে গিয়েছিল সানিয়া মির্জা আর শোয়েব মালিকের ডিভোর্সের গুঞ্জন। যদিও দু’জনের মধ্যে কেউ এই বিষয়ে মুখ খুলেননি। তাঁরা একসঙ্গে অনুষ্ঠানও করেছেন। এমনকি পুত্র সন্তানের জন্মদিনে সানিয়া ও শোয়েবকে একসঙ্গে দেখাও গিয়েছে। জানা গিয়েছে কিছু চুক্তির জন্য তাঁরা আইনত ডিভোর্সের পথে হাঁটতে পারছেন না। এবার তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে ইঙ্গিত দিলেন সানিয়া মির্জা। বেস্ট ফ্রেন্ড পরিনীতি চোপড়ার বিয়ে থেকেও ঘুরে এসেছেন রাজস্থানে। তবে ফের উসকে উঠল আলাদা হওয়ার খবর, আগুনে ঘি পড়ার মতো। যার পিছনে রয়েছে ভারতের ব্যাডমিন্টন তারকার একটি স্টেটাস।
সানিয়া মির্জার ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে লেখা রয়েছে, ‘আমি যদি তোমার সঙ্গে যোগাযোগ করি, তার মানে আমি তোমার কেয়ার করি। আর আমি যদি চুপ থাকি, তার মানে আমি আর নেই।’ এই ইঙ্গিত কি শোয়েবের দিকেই, মনে প্রশ্ন নেটপাড়ার। ২০১০ সালে বিয়ে করেন সানিয়া ও শোয়েব। পাকিস্তানি ক্রিকেটারকে বিয়ে করে কম কটাক্ষে পড়েননি সানিয়া। যদিও এতদিন খুব সুন্দর করেই সামলে এসেছিলেন দুই দিক। করাচিতে শ্বশুরবাড়িতেও দেখা যেত তাঁকে।
২০১০ সালে বিয়ে করেন সানিয়া ও শোয়েব। ইজহানকে অবশ্য যৌথভাবেই বড় করছেন তাঁরা। বলে রাখা ভালো, কিছুদিন আগে শোয়েব মালিক তাঁর ইন্সটাগ্রাম থেকে ‘সানিয়া মির্জার স্বামী’ পরিচয়টা সরিয়ে দিয়েছিলেন। ভারতের টেনিস তারকা এখন পাকাপাকিভাবে থাকছেন দুবাইতে ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে। যদিও শোয়েব রয়েছেন পাকিস্তানেই। ছেলের সঙ্গে দেখা করতে মাঝে মাঝে যান দুবাইতে।
এক্ষেত্রে বলতে হয়, মাস কয়েক আগেই ছেলে ইজহানকে নিয়ে উমরাহ করতে সৌদি গিয়েছিলেন সানিয়া, সঙ্গে ছিলেন না শোয়েব। যা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে পাকিস্তানি ক্রিকেটারের বেফাঁস জবাব ছিল, ‘ওই সময় আমার কিছু কাজ ছিল, সেটা শেষ করে আমি যখন ইজহানের সঙ্গে সময় কাটাতে দুবাই গেলাম সানিয়া ব্য়স্ত ছিল আইপিএল নিয়ে।’
শোয়েবের সঙ্গে নাম জড়িয়েছে পাকিস্তানের আয়েশা ওমরের। ‘করাচি সে লাহোর’, ‘ইয়ালঘার’, ‘কাফ কঙ্গনা’র মতো ছবিতে কাজ করেছেন তিনি। আসলে ২০২১ সালে এই পাক অভিনেত্রীর সঙ্গে বোল্ড ফটোশ্যুট করেছিলেন সানিয়ার স্বামী। এবার ডিভোর্সের জল্পনা উঠতেই টেনে আনা হচ্ছে সেই প্রসঙ্গ। যদিও এই প্রসঙ্গে অভিনেত্রীর সাফ জবাব, ‘আমি কখনই বিবাহিত বা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ পুরুষের প্রতি আকৃষ্ট হব না। সবাই আমাকে জানে এবং এটি বলার অপেক্ষা রাখে না।’