নিজস্ব সংবাদদাতাঃ ২০২৩ সালের শেষটা ভুলে ২০২৪ সালের শুরুটা ভালো করতে চায় সবুজ মেরুন শিবির। নতুন বছরে সুপার কাপ দিয়ে অভিযান শুরু করবে মোহনবাগান। আসলে ২০২৩ সালের শেষটা একেবারেই ভালো হয়নি সবুজ মেরুন ব্রিগেডের। তবে নতুন বছরটা ভালো করে শুরু করতে চাইবে টিম ফেরান্দো। শুরুতেই তাদের কাছে ভালো খবর হল যে চোট পেয়ে দীর্ঘদিন বাইরে থাকা আনোয়ার আলি অনুশীলনে ফিরছেন। যা সবুজ-মেরুন সমর্থকদের স্বস্তি দিয়েছে। এদিকে ফুটবলার সাহাল আব্দুল সামাদ ভারতীয় দলে প্রত্যাবর্তন করেছেন। এএফসি এশিয়ান কাপে ভারতীয় দলের সঙ্গে গিয়েছেন মোহনবাগানের এই অ্যাটাকিং মিডিও। ফলে সমর্থকেরা মনে করছেন সুপার কাপে না হলেও আইএসএল-এর দ্বিতীয় পর্বে ফিরে আসবেন সাহাল।
মোহনবাগানের দিক থেকে সাহালের ফেরাটা খুব প্রয়োজনীয়। সাহাল বল ধরে খেলতে পারেন, আবার সতীর্থকে ঠিকানা লেখা পাসটাও বাড়াতে পারেন। তবে কবে ফিরবেন তিনি তা এখনই বলা যাচ্ছে না। লিগামেন্টে চোট। ফলে ফিরতে সময় লাগবে। তবে এখন স্টিম্যাচের দলে ফিরেছেন সাহাল। এখন মনে করা হচ্ছে শীঘ্রই বাগানের একাদশেও ফিরবেন তিনি। এখন প্রশ্ন হল কবে ফিরতে পারেন সাহাল? যে ধরণের চোট সাহাল পেয়েছেন, তাতে তাঁর মাঠে ফিরতে আরও তিন সপ্তাহ লাগতে পারে। জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে। সেক্ষেত্রে এশিয়ান কাপ তো বটেই, আইএসএলের দ্বিতীয় পর্বের প্রথম কিছু ম্যাচেও হয়তো তাঁকে পাওয়া যাবে না।
এদিকে সুপার কাপের প্রস্তুতির জন্য ৩ জানুয়ারি থেকে অনুশীলন শুরু করছে মোহনবাগান। মনে করা হচ্ছে সেই দিনই মাঠে দেখা যেতে পারে আনোয়ার আলিকে। তবে অনুশীলনে ফিরলেও সুপার কাপে তাঁকে খেলানো যাবে কিনা তা নিয়ে এখনই কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি জুয়ান ফেরান্দো। মোহনবাগান সুপার জায়েন্টও তাঁর মাঠে ফেরার ব্যাপারে তাড়াহুড়ো করতে চাইছে না। তাঁকে আইএসএল-এ পেতে মরিয়া সবুজ-মেরুন। ফেরান্দো আসন্ন সুপার কাপে নিজেদের দলের সাত জন ফুটবলারকে পাবেন না। এই অবস্থায় দলের ছয় বিদেশি ভরসা হবে সবুজ মেরুনের। এমন অবস্থায় হুগো বুমোসকে দ্রুত ফর্মে ফিরতে হবে। সুপার কাপের আগে বিদেশি ফুটবলার বদল করার কোনও পরিকল্পনা নেই মোহনবাগানের। কারণ দলের সাত ফুটবলার ভারতের হয়ে খেলতে চলে গিয়েছেন। চোট আঘাত সমস্যা পুরোপুরি কাটিয়ে ওঠা যায়নি। ফলে এখনই দল নিয়ে নতুন কোনও পরিকল্পনায় হাঁটতে নারাজ কোচ জুয়ান ফেরান্দো।