নিজস্ব প্রতিবেদন : বিতর্কিত হোয়ারঅ্যাবাউট ক্লজ মানেননি বলে জাতীয় ডোপ বিরোধী সংস্থা নাডার (NADA) কুস্তিগীর বিনেশ ফোগতকে তোপের মুখে ফেলেছে। তাঁকে শোকজ করা হয়েছে এবং ১৪ দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে। বর্তমানে তিনি রাজনীতির ময়দানে ব্যস্ত রয়েছেন, যা তাঁর ক্রীড়া জীবনের উপর প্রভাব ফেলছে। উল্লেখিত বিষয়টি নিয়ে বর্তমানে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন ফোগত।
কী এই হোয়ারঅ্যাবাউট ক্লজ ?
হোয়ারঅ্যাবাউট ক্লজ হলো একটি নিয়ম, যার মাধ্যমে একজন ক্রীড়াবিদকে সারা বছর ধরে তাঁর গতিবিধি জানাতে হয়, যাতে ডোপ পরীক্ষার জন্য যে কোনও সময় নমুনা সংগ্রহ করা সম্ভব হয়। এই নিয়মের কারণে ক্রীড়াবিদদের ব্যক্তিগত স্বাধীনতা নিয়ে বিতর্ক হয়েছে। বিশেষ করে, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে নাডার সংঘাত ছিল, কারণ অনেক ক্রিকেটার এই শর্ত মানতে রাজি ছিলেন না। পরে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড এই শর্ত মেনে নিয়েছিল।
বিনেশ ফোগত প্যারিস অলিম্পিক্সে মহিলাদের কুস্তির ৫০ কেজি বিভাগে অংশ নিয়ে রুপোর পদক নিশ্চিত করেছিলেন। তবে ফাইনালের দিন সকালে একটি বড় ধাক্কা খেতে হয়, কারণ তাঁর শরীরের ওজন নির্ধারিত মাত্রার চেয়ে ১০০ গ্রাম বেশি পাওয়া যায়। এই কারণে তিনি অলিম্পিক্স থেকে বাতিল হয়ে যান এবং আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালতে আপিল করলেও সেই আবেদন নাকচ হয়ে যায়। হতাশা থেকে পরে তিনি কুস্তি থেকে অবসর ঘোষণা করেন।
তবে অবসর ঘোষণার পরও বিনেশের নাম নাডার তালিকায় রয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী, ক্রীড়াবিদকে ডোপ পরীক্ষার জন্য তাঁর অবস্থান জানাতে হয়। বিনেশ জানিয়েছিলেন যে, ৯ সেপ্টেম্বর সোনপতের খারখোদা গ্রামে নমুনা দেবেন। কিন্তু সংশ্লিষ্ট দিনে নির্দিষ্ট সময়ে তাঁকে পাওয়া যায়নি, ফলে নমুনা সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি। এখন নাডা (NADA) তাঁকে ১৪ দিনের মধ্যে কেন তিনি নমুনা দেওয়ার জায়গায় ছিলেন না, তার ব্যাখ্যা দিতে বলেছে। এই পরিস্থিতি নিয়ে অনেকেই রাজনীতির প্রভাব দেখছেন, এবং বিনেশের ক্রীড়া জীবনের ওপর এর কী প্রভাব পড়বে, তা নিয়ে আলোচনা চলছে।