নিজস্ব সংবাদদাতাঃ আজ আইসিসি পুরুষ বিশ্বকাপের মহারণে মুখোমুখি হতে চলেছে টিম ইন্ডিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকা। দুপুর ২টো নাগাদ ম্যাচটি হবে কলকাতার ইডেন গার্ডেন্স স্টেডিয়ামে। তার আগে দুপুর ১টা ৩০মিনিট নাগাদ টস হবে। এটি দুই দলের কাছেই একটা বড় চ্যালেঞ্জ। বিশ্বকাপের ট্রফি জেতার লক্ষ্যে দুই দল'ই মরিয়া। সময়ই বলবে যে কারা হবে আজকের চ্যাম্পিয়ান। তবে দু’টি দল যে ফর্মে আছে, তাতে এই ম্যাচকেই সবাই বিশ্বকাপের ফাইনাল বলছেন।
এ বারের বিশ্বকাপে ভারত এখনও পর্যন্ত কোনও ম্যাচে হারেনি। যে ফর্মে তারা রয়েছে, তাতে এক নম্বরে থেকে যেতে পারেন রোহিত শর্মারা। যদি ভারত দু’নম্বরে নেমে যায়, তা হলে এক নম্বর জায়গাটা দখল করার সুযোগ সব থেকে বেশি দক্ষিণ আফ্রিকার। অর্থাৎ এক বনাম চার এবং দুই বনাম তিন নম্বর দলের সেমিফাইনালের নিয়মে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ভারত খেলতে পারে আবার ফাইনালেই। তার আগে রবিবারের ম্যাচেই হয়ে যাবে ‘স্টেজ রিহার্সাল’।
এবারের বিশ্বকাপে ভারতকে প্রথম থেকেই ফাইনালে ওঠার দাবিদার বলা হচ্ছিল। অস্ট্রেলিয়াকে চেন্নাইয়ের মাঠে ৬ উইকেটে হারিয়ে শুরু করে সেই দাবি আরও জোরালো করে দিয়েছিলেন রোহিতেরা। ভারতীয় বোলিংয়ের সামনে ১৯৯ রানে শেষ হয়ে গিয়েছিল স্টিভ স্মিথ, মার্নাস লাবুশেন সমৃদ্ধ অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং। সেই ম্যাচে ৮৫ রান করেন বিরাট কোহলি। ৯৭ রানে অপরাজিত ছিলেন লোকেশ রাহুল। জয়ের সেই শুরু। যত ম্যাচ গড়িয়েছে, ভারতকে তত ভয়ঙ্কর দেখিয়েছে।
দিল্লিতে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ভারত জিতেছিল ৮ উইকেটে। রোহিত ১৩১ রানের ইনিংস খেলেন। তাঁর সেই বিধ্বংসী ইনিংস ভারতের আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে তুলে দেয়। পরের ম্যাচই ছিল পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। যে ম্যাচ ঘিরে বিশ্বকাপ শুরুর আগে থেকে আগ্রহ ছিল। ভারত সেই ম্যাচে পাকিস্তানকে যে উড়িয়ে দেবে তা ভাবাই যায়নি। কিন্তু পাকিস্তানের ইনিংস শেষ হয়ে যায় মাত্র ১৯১ রানে। ভারতীয় বোলারেরা পাকিস্তানের ইনিংস শেষ করে দেন ৪২.৫ ওভারে। দলগত পারফরম্যান্সের নিদর্শন ছিল সেই ম্যাচ। এর পর বাংলাদেশ (৭ উইকেটে জয়), নিউ জ়িল্যান্ড (৪ উইকেটে জয়), ইংল্যান্ড (১০০ রানে জয়) এবং শ্রীলঙ্কাও (৩০২ রানে জয়) ভারতের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে পারেনি। এমনকি বিশ্বকাপের মাঝে হার্দিক পাণ্ড্য চোট পাওয়ার পরেও দলের কোনও বড় ক্ষতি হয়নি। কোনও এক জনের উপর নির্ভরশীল নয় এই ভারত। সব ব্যাটার রানের মধ্যে রয়েছেন, পেস এবং স্পিন বিভাগ সমান ভাবে সফল। ভারতকে কি আদৌ হারানো সম্ভব ?