নিজস্ব সংবাদদাতাঃ ২০২৪ সালের আইপিএলে দুটো হাইস্কোরিং ম্যাচ দেখার সুযোগ হয়েছে ক্রিকেট প্রেমীদের। প্রথমটি নিঃসন্দেহে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ বনাম মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। আইপিএলের ইতিহাসে এই মরসুমের আগে অবধি সর্বাধিক স্কোরের রেকর্ড ছিল আরসিবির দখলে। ২০১৩ সালে ২৬৩ রানে এই রেকর্ড গড়েছিল আরসিবি। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে ২৭৭ রান করে সেই রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে সানরাইজার্স। যদিও ম্যাচটা একতরফা হয়নি। সানরাইজার্সের রেকর্ডটা অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছে। তবে দিল্লি ক্যাপিটালস বনাম কলকাতা নাইট রাইডার্স ম্যাচে অনেক কিছুই ঘটেছে।
এক নজরে দেখে নিন, কী কী রেকর্ড হল-
১) ২৭২-৭: দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে এই স্কোর গড়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। আইপিএলের ইতিহাসে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। গত সপ্তাহে সবচেয়ে বড় স্কোরের রেকর্ড গড়েছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। তারা ২৭৭-৩ করেছিল। তবে কলকাতার জন্য নতুন রেকর্ডও হয়েছে। এত দিন কলকাতার সর্বাধিক স্কোর ছিল ২৪৫-৬। সেই ২০১৮ সালে কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের (বর্তমানে পঞ্জাব কিংস) বিরুদ্ধে এই স্কোর গড়েছিল কেকেআর।
/anm-bengali/media/media_files/gpmYibCIZgMBUVFe7hrk.jpg)
২) ১৮টি ছয়ঃ বিশাখাপত্তনমে ১৮টি ছয় মেরেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। আইপিএলে এক ইনিংসে কেকেআরের সবচেয়ে বেশি ছয়ের নজির। এর আগে ২০১৮ সালে চেন্নাই ও ২০১৯ সালে পঞ্জাবের বিরুদ্ধে ১৭টি ছয় মেরেছিল কেকেআর।
/anm-bengali/media/media_files/rIyVzt8t0nNHIbtYBRpc.jpg)
৩) ৩ বার হাফসেঞ্চুরিঃ আইপিএলের ইতিহাসে পাওয়ার প্লে-তে এই নিয়ে তৃতীয় বার হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করে ফেলেছেন সুনীল নারিন। পাওয়ার প্লে-তে সবচেয়ে বেশি হাফসেঞ্চুরির রেকর্ড ডেভিড ওয়ার্নারের (৬) দখলে।
৪) ৮৮ রানঃ দিল্লির বিরুদ্ধে পাওয়ার প্লে-তে এই রান তুলেছে কেকেআর। আইপিএলে এটিই কেকেআরের দ্বিতীয় সর্বাধিক স্কোর। ২০১৭ সালে আরসিবির বিরুদ্ধে পাওয়ার প্লে-তে ১০৫ তুলেছিল কেকেআর। পাওয়ার প্লে-তে ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে এটিই সর্বাধিক স্কোর, এবারের আইপিএলেও পাওয়ার প্লে-তে এটিই সর্বোচ্চ।
/anm-bengali/media/media_files/6YCWf3jDXppg6DJJalHW.jpg)
৫) ১৩৫ রানঃ ইনিংসের মাঝপথে কেকেআরের স্কোর ছিল এটিই। আইপিএলের ইতিহাসে ইনিংসের মাঝপথে তৃতীয় সর্বাধিক স্কোর।
৬) এই ম্যাচে অঙ্গকৃশ রঘুবংশীর বয়স ছিল ১৮ বছর, ৩০৩ দিন। ২৩ জন প্লেয়ার আইপিএল কেরিয়ারের প্রথম ইনিংসেই পঞ্চাশোর্ধ্ব স্কোর গড়েছেন। তাদের মধ্যে কণিষ্ঠতম হলেন রঘুবংশী। ২০০৮ সালে উদ্বোধনী আইপিএলে ১৯ বছর ১ দিন বয়সে অভিষেক ইনিংসে ৫২ করেছিলেন শ্রীবৎস গোস্বামী। সব মিলিয়ে সবেচেয়ে কম বয়সে আইপিএলে ৫০ প্লাস স্কোরের নিরিখে সপ্তম ব্যাটার হলেন অঙ্গকৃশ। আর কেকেআরের দ্বিতীয় ব্যাটার। ২০১৮ সালে ১৮ বছর ২৩৭ দিনে আইপিএলে হাফসেঞ্চুরি করেছিলেন তৎকালীন কেকেআর ব্যাটার শুভমন। বর্তমানে যিনি গুজরাট টাইটান্সের অধিনায়ক।
/anm-bengali/media/media_files/eQTqWGAdAxs2eRNxHUu6.jpg)
৭) ২৫-বলে হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন অঙ্গকৃশ রঘুবংশী। আইপিএলে অভিষেক ইনিংসে দ্বিতীয় দ্রুততম হাফসেঞ্চুরি। ২০০৮ সালের উদ্বোধনী আইপিএলে অভিষেকে ২৫ বলে হাফসেঞ্চুরি করেছিলেন জেমস হোপস।
/anm-bengali/media/media_files/h54Bm6xWWg2vQAUTQwp8.webp)
৮) আইপিএলের ইতিহাসে ৮৫- সুনীল নারিনের সর্বাধিক স্কোর। শুধু তাই নয়, তাঁর টি-টোয়েন্টি কেরিয়ারেও সর্বাধিক স্কোর। কেরিয়ারের ৫০১ নম্বর টি-টোয়েন্টি ম্যাচে এই স্কোর গড়লেন নারিন। এত দিন সব টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে তাঁর সর্বাধিক স্কোর ছিল ৭৯।