নিজস্ব সংবাদদাতা: বিশ্বকাপ ফাইনাল শুরু হওয়ার আগে ২৪ ঘণ্টাও বাকি নেই। ইতিমধ্যে আইসিসি বিশ্বকাপ ফাইনালের আম্পায়ার নির্বাচন করে দিয়েছে। আম্পায়ারদের তালিকা দেখে ক্ষুব্ধ ভারতীয় ক্রিকেট সমর্থকরা। রিচার্ড ইলিংওয়ার্থ এবং রিচার্ড কেটেলবরো ২২ গজে আম্পায়ারিং করছেন। রিচার্ড কেটেলবরোকে নিয়েই চিন্তার পারদ বাড়ছে ভারতীয় ক্রিকেট প্রেমীদের।
টিম ইন্ডিয়ার জন্য রিচার্ড কেটেলবরোকে অপয়া মনে করা হয়। আইসিসির ইভেন্টে ভারতের যতগুলো খেলায় রিচার্ড কেটেলবরো আম্পায়ারিং করেছেন, সেই সব ম্যাচগুলোতে ভারত হেরেছে। পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৪ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে আম্পায়ার ছিলেন কেটেলবরো। সেই ম্যাচ ভারত হেরে যায়। এরপর ২০১৫ সালের সেমিফাইনালেও অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে হারতে হয় ভারতকে। সেখানে আম্পায়ার ছিলেন তিনি। একই ঘটনা দেখা যায় ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, ২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ফাইনাল, ২০১৯ বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল।
'অপয়া' কেটেলবরোকে কেন আবার দায়িত্ব দেওয়া হল, তাও আবার ক্রিকেট বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচের জন্য, সেই নিয়ে ভারতের ক্রিকেট অনুগামীরা প্রশ্ন তুলেছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভারতীয় ক্রিকেটের অনুগামীরা নিজেদের ক্ষোভ, হতাশা উগড়ে দিয়েছেন। আইসিসির এই সিদ্ধান্তে ভারতের ক্রিকেট অনুরাগী ছাড়াও ক্রিকেট দলের সদস্যদের ওপর চাপ পড়বে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। নেটিজেনরা সোশ্যাল মিডিয়ায় কেটেলবরো আম্পায়ার হওয়ায় নিজদের ক্ষোভ, হতাশা উগরে দেন। অনেকেই দাবি করেছেন, আইসিসি যেন নিজেদের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে। ব্রিটিশ আম্পায়ারকে যেন সরিয়ে দেওয়া হয়। তাঁকে যেন দেশে পাঠানো হয়। তবে আইসিসি নিজেদের সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছে। এখন দেখার বিষয়, অপয়া অপবাদ কাটিয়ে ব্রিটিশ আম্পায়ারের পরিচালনায় বিশ্বকাপ ফাইনাল ভারত জেতে কি না।
অন্যদিকে, উৎসবের মেজাজে সেজে উঠেছে আহমেদাবাদ। রবিবার আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে ভারতের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলা হবে। ইতিমধ্যে ক্রিকেটের একের পর এক ব্যক্তিত্ব আহমেদাবাদে এসে পৌঁছাতে শুরু করেছেন। গুজরাতের ঐতিহ্য মেনে তাঁদের স্বাগত জানানোর ব্য়বস্থা করেছেন আহমেদাবাদ বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট দলের সদস্যরাও আহমেদাবাদ হোটেলে প্রবেশ করেছেন। হোটেল কর্তৃপক্ষের তরফে তাঁদের বিশেষভাবে স্বাগত জানায়। তবে বর্তমানে ক্রিকেট উন্মাদনার পাশাপাশি আহমেদাবাদের হোটেল ভাড়া প্রায় আকাশ ছোঁওয়া। পাঁচ তারা হোটেলগুলোর ভাড়া এক লক্ষ টাতা ছাড়িয়ে গিয়েছে। অন্যদিকে, আহমেদাবাদ উড়ে আসা বিমানের ভাড়াও এক ধাক্কায় অনেকটা বেড়ে গিয়েছে। তবে ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছে বিশ্বকাপ ফাইনাল স্বচক্ষে দেখার থেকে মূল্যবান আর কিছু নেই।