আজ ৭-এ ৭, এই লক্ষ্য পূরণ করা ভারতের কাছে একটা বড় চ্যালেঞ্জ। ভারতের চূড়ান্ত চারে জায়গা পাওয়ার ৯৯.৫ শতাংশ সম্ভাবনা রয়েছে। টুর্নামেন্টে ভারত এখন পর্যন্ত অপ্রতিরোধ্য। তাদের প্রায় সব ব্যাটারই রান পেয়েছে এবং প্রত্যেক বোলারই উইকেটের মধ্যে রয়েছে। ইনজুরির কারণে হার্দিক পান্ডিয়ার অনুপস্থিতি যদি কোনো উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়, তবে মহম্মদ শামির দুই ম্যাচে নয় উইকেট এবং সূর্যকুমার যাদবের গুরুত্বপূর্ণ ৪৯ রান তাদের বাঁচাতে পারবে।
অন্যদিকে, শ্রীলঙ্কার জন্যও আজকের এই ম্যাচ সমান তাৎপর্যপূর্ণ। সেমিফাইনালে জায়গা পাওয়ার সম্ভাবনা তাদের না থাকলেও তাদের এই ম্যাচটি জিততে হবে। আফগানিস্তানের কাছে হারের পর, শ্রীলঙ্কা পয়েন্ট টেবিলের নীচের অর্ধে নেমে যাওয়ায় উত্থানটি স্থায়ী হয়নি। ফাস্ট বোলার দিলশান মাদুশঙ্কা এবং কাসুন রাজিথা মিলে ২০টি উইকেট নিয়েছেন, আর সাদিরা সামারাবিক্রমা ছয় ম্যাচে ৩৩০ রান নিয়ে ব্যাট হাতে তারকা হয়েছেন।
এক সময় শ্রীলঙ্কাকে বিশ্বের শক্তিশালী দল হিসেবে গণ্য করা হত। তাদের দুর্দান্ত বোলার এবং ব্যাটসম্যান ছিল। ভারতকেও সমান প্রতিযোগিতা দিত শ্রীলঙ্কা। কিন্তু এখন পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভিন্ন। শ্রীলঙ্কা দল ভারতের ধারে কাছেও নেই। ওয়ানডেতে দুই দলের মধ্যে মোট ১৬৭টি ম্যাচ খেলা হয়েছে। এতে ভারত জিতেছে ৯৮টি ম্যাচ এবং শ্রীলঙ্কা জিতেছে ৫৭টি। একটি ম্যাচ টাই হয়েছে। এরমধ্যে ১১টি ম্যাচের ফল পাওয়া যায়নি। শেষ ১০টি ওয়ানডের দিকে তাকালে ভারত ৯টি ম্যাচে জিতেছে।
চলতি বিশ্বকাপে দারুণ ফর্মে রয়েছে টিম ইন্ডিয়া। এখনও পর্যন্ত লিগে নিজেদের ছয়টি ম্যাচ জিতেছে তারা। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে নামার আগেও ফেভারিটের তালিকাতে রয়েছে ভারত। তবে অতীতের ফলাফল দেখলেই বোঝা যাবে বর্তমান ম্যাচে কারা এগিয়ে।
বিশ্বকাপের দুই দলের কথা বললে, শ্রীলঙ্কা দল ভারতকে সমান প্রতিযোগিতা দিয়েছে। ১৯৭৯ সালে শ্রীলঙ্কা ভারতকে বিপর্যস্ত করে পরাজিত করে। ১৯৯৬ সালে সেমিফাইনালে শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে ভারতের বিদায় হয়ে ছিল এবং এরপরে শ্রীলঙ্কার সেবার ট্রফি জিতেছিল। ২০০৭ বিশ্বকাপে ভারতকে হারিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। অন্যদিকে, ২০১১ সালে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে বিশ্বকাপ শিরোপা জিতেছিল ভারত।
সময়ের অপেক্ষা শুধু, এবারের বিশ্বকাপের খেতাব ভারতের জন্য লেখা আছে কিনা !