নিজস্ব সংবাদদাতা: ১৯৮৩ সালে যখন কপিল দেবের নেতৃত্বে ভারতীয় দল বিশ্বকাপ জিতেছিল তখন দলের খেলোয়াড়দের প্রত্যেককে ১ লাখ টাকা করে পুরস্কার দেওয়ার জন্য ক্রিকেট ভক্ত লতা মঙ্গেশকরকে ‘কনসার্ট’ করতে হয়। ২০১১ সালে ধোনির নেতৃত্বে বিশ্বকাপ জয়ী দলটিও প্রচুর অর্থ লাভ করে। এবার অর্থাত্ ২০২৩ সালে দলটি বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হলে আইসিসি থেকে ৩৩ কোটি টাকার বেশি প্রাইজমানি দেওয়া হবে।
২০১১ সালে বিশ্বকাপের মোট প্রাইজমানি ছিল ৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (৬৬ কোটি)। একই সময়ে, আইসিসি টিম ইন্ডিয়াকে প্রায় ২৫ কোটি টাকা প্রাইজমানি দেয়। সেখানে রানার আপ শ্রীলঙ্কা পেয়েছে প্রায় ১২.৫ কোটি টাকা। বাকি টাকা লিগ ম্যাচ ও নকআউট ম্যাচে বিজয়ী দলকে দিয়ে দেওয়া হয়। ২০২৩ বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন দল ICC থেকে ৩৩.১৭ কোটি টাকা পাবে। সেখানে রানার আপ পাবে এই টাকার অর্ধেক ভাগ। সেমিফাইনালে পরাজিত উভয় দলই ৬.৬৩ কোটি টাকা পাবে। এছাড়া গ্রুপ পর্বে ম্যাচ জিতলে তারা ৩৩.১৭ লাখ টাকা পেয়ে যাবে। আনুমানিক ৮২.৯৫ কোটি টাকা মূল্যের পুরস্কারের অর্থ ICC 2023 সালের বিশ্বকাপে বিতরণ করতে চলেছে। ১৯৮৩ সালে বিসিসিআই-এর কাছে এত টাকা ছিল না বলে লতা মঙ্গেশকর সাহায্য করেন। ভারতীয় দল যখন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়, তখন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের কাছে খেলোয়াড়দের দেওয়ার মতো টাকা ছিল না। এখন বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআই- এর অবস্থা তখন খুবই করুণ ছিল। তত্কালীন বিসিসিআই সভাপতি এনকেপি সালভে খেলোয়াড়দের পুরস্কার দিতে চাইলেও তিনি অসহায় হয়ে পড়েছিলেন। এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে নাইটিঙ্গেল লতা মঙ্গেশকরের কাছে সাহায্য চাইতে যান সালভে। ভারতীয় দলের জয় উদযাপন করতে দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী ইন্ডোর স্টেডিয়ামে কনসার্টের আয়োজন করা হয়। সেখান থেকে ২০ লক্ষ টাকা আয় করা হয়। পরে ভারতীয় দলের সকল সদস্যকে পুরস্কার হিসেবে দেওয়া হয় ১ লাখ টাকা করে।