নিজস্ব সংবাদদাতাঃ আজ মুম্বাইতে প্রথম সেমি ফাইনাল ম্যাচ খেলতে মাঠে নামছে ভারত এবং নিউজিল্যান্ড। টিম ইন্ডিয়া এখনও পর্যন্ত আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপ ২০২৩-এ অপরাজেয়। ১ টা দল, ৯ টি ভিন্ন দলকে হারিয়ে ১৮ পয়েন্ট দখল করেছে। তাদের পরবর্তী মিশন বুধবার সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে ফাইনালে ওঠা। ২০১৯ ওডিআই বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে মার্টিন গাপ্তিলের থ্রো ভেঙে দিয়েছিল কোটি কোটি ভারতীয় ক্রিকেট প্রেমীর হৃদয়। ক্রিজে ঢোকার আগেই এমএস ধোনির স্ট্যাম্প ভেঙে তাঁকে রান আউট করে দিয়েছিলেন গাপ্তিল। ওই একটি রান আউট ভারতের ফাইনাল খেলার স্বপ্ন শেষ করে দিয়েছিল। সেই একই ম্যাচের পুনরাবৃত্তি হতে চলেছে ২০২৩ সালে।
ভারত বনাম নিউজিল্যান্ড ম্যাচে স্লো পিচ দেখা যাবে। টিম ম্যানেজমেন্ট বিসিসিআই কিউরেটরকে পিচ থেকে ঘাস ছেঁটে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে৷ নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে জয়ের পরেই ভারতীয় থিঙ্ক ট্যাঙ্ক ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামের কিউরেটরকে নিজেদের পছন্দের কথা জানিয়েছিল। ২০২৩ সালের বিশ্বকাপে মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে এ পর্যন্ত ৪টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রথমে ব্যাট করা দলগুলিই জিতেছে৷ ৩ ম্যাচে সন্ধ্যার প্রথম ২০ ওভারে ফাস্ট বোলাররা অনেক সাহায্য পেয়েছিলেন। প্রথম ইনিংসের গড় স্কোর ৩৫০ রানের বেশি হয়েছে। এমতাবস্থায় সেমিফাইনালে এখানে বড় স্কোর দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা কম। সংবাদমাধ্যমকে রোহিত জানিয়েছেন, যে তিনি দীর্ঘদিন ধরেই এখানকার পিচে খেলছেন। এমন অবস্থায় বিশ্বকাপের কিছু ম্যাচের ভিত্তিতে রান তাড়া করা নিয়ে কিছু বলা ঠিক হবে না। ফলে এখানে টস গুরুত্বপূর্ণ হবে না।
এক্ষেত্রে বলতে হয়, ম্যাচের আগে নিউজিল্যান্ডের প্রাক্তন তারকা ক্রিকেটার রস টেলর সোজাসুজি বলে দিয়েছেন, এই ম্যাচের আগে চাপে থাকবে ভারত। নিউজিল্যান্ড যদি বল এবং ব্যাট হাতে শুরুটা ভালো করতে পারে, তাহলে তারা আত্মবিশ্বাস পাবে। দুই ইনিংসেই প্রথম দশ ওভার খুব গুরুত্বপূর্ণ। ভারত ব্যাট করলে আমরা চাইব যাতে ওদের ২-৩ উইকেট পড়ে যায়। তাহলেই তারা চাপে থাকবে। কারণ টপ অর্ডারের প্রথম তিন জনের উপর ওরা খুব ভরসা করে। শুভমন গিল রয়েছে।রয়েছে রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলি। ভারত যখন বল করছে তখনও গুরুত্বপূর্ণ যেমন রান করাটা, তেমন গুরুত্বপূর্ণ উইকেট বাঁচানো। জসপ্রীত বুমরাহ, মহম্মদ শামি, মহম্মদ সিরাজদের বিরুদ্ধে লড়াইটা মোটেও সহজ হবে না।