ইস্টবেঙ্গলের নয়নের মণি হিজাজি, জর্ডনে গিয়ে এনেছিলেন কার্লেস

হিজাজিকে রাজি করতে জর্ডনেও যেতে হয় কুয়াদ্রাতকে।

author-image
Adrita
New Update
ফ্র

ফাইল ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ দিনের পর দিন, ঘণ্টার পর ঘণ্টা কঠোর পরিশ্রম অবশেষে দিল ফল। দীর্ঘ ১২ বছর পর একটি জাতীয় ট্রফি নিজেদের ঘরে তুল্য ইস্টবেঙ্গল। সুপার কাপ পকেটে তুলেছে কার্লেস কুয়াদ্রাতের ছেলেরা। ওড়িশা এফসির বিরুদ্ধে একটি রুদ্ধশ্বাস ফাইনাল তারা নিজেদের ঝুলিতে তুলে নিল ৩-২ গোলে। তবে এই জয়ের পেছনে একটি বড় অবদান রয়েছে দলের ডিফেন্ডারদেরও। বিশেষ করে এদিন দলের তরুণ ডিফেন্ডার হিজাজি মাহেরের খেলা ছিল দেখার মতো। ফাইনালে তাঁকেই দিনের শেষে সেরা ডিফেন্ডার বলে ঘোষণা করা হয়। গোটা ম্যাচ জুড়ে তিনি লাগাতার চাপ বাড়িয়ে যাচ্ছিলেন ওড়িশার স্ট্রাইকারদের উপর। তবে এই প্রতিভাশালী ডিফেন্ডারকে হয়তো সুপার কাপে ইস্টবেঙ্গলের হয়ে খেলতে দেখাই যেত না যদি না জর্ডন এলসি চোট পেতেন এবং দলের হেড কোচ জর্ডানে ছুঁটতেন।

জানা গিয়েছে, প্রথমদিকে জর্ডনের এই তরুণ ডিফেন্ডারের বিন্দুমাত্র ইচ্ছা ছিল না লাল-হলুদ শিবিরে খেলার। কলকাতায় বসে তাঁকে মানাবার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন দলের হেড কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত। কোনও ভাবেই যখন তিনি রাজি হচ্ছিলেন না, তখন দলের ইনভেস্টার হেড কোচকে অনুমতি দেন জর্ডানে যাওয়ার এবং হিজাজির সঙ্গে কথা বলার। সেখানে গিয়ে কথা বলার পর, অবশেষে হিজাজি রাজি হন ইস্টবেঙ্গলের হয়ে খেলার জন্য।

যদিও জয়ের পর এই প্রসঙ্গে নিজের অবস্থানও পেশ করেছেন জর্ডানের এই প্রতিভাশালী ডিফেন্ডার। হিজাজি বলেছিলেন, 'আমি ভারতে এসে শুনলাম যে দীর্ঘদিন ধরে ইস্টবেঙ্গল কোন ট্রফি পাচ্ছে না। ওরা বহুদিন ধরে একটা খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। সেই সময়ে আমি ঠিক করলাম যে এদের জন্য কিছু একটা করে আমায় দেখাতে হবে। যেভাবেই হোক এই দল এবং তাদের সমর্থকদের মুখে হাসি ফোটাতে হবেই। সত্যি বলতে গেলে ইস্টবেঙ্গলের সমর্থকরা খুবই ভালো। ওরা খুব দ্রুতই আমাকে আপন করে নিয়েছিল। সুতরাং ওদের মুখে হাসি ফোটাতে পেরে আমার যে কি আনন্দ হচ্ছে সেটা আমি আপনাদের বলে বোঝাতে পারবো না।'

প্রসঙ্গত, সামনেই ফের রয়েছে ডার্বি ম্যাচ। ফের মুখোমুখি হবে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। আসন্ন এই ম্যাচ নিয়ে এক সাক্ষাৎকারে নিজের মুখ খুলেছিলেন দলের হেড কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত। তিনি বলেছিলেন, 'দেখুন এবারের ডার্বি লড়াই একেবারেই সহজ হবে না। গতবারের পরাজয়ের বদলা নিতে আক্রমণাত্মক খেলা খেলবে মোহনবাগান। ওদের সাতজন প্রভাবশালী ফুটবলার ইতিমধ্যেই ফিরে এসেছে দলে।  

স

স্ব

স