নিজস্ব সংবাদদাতাঃ লিওনেল মেসির হাতেই উঠে এল ব্যালন ডি’অর এর পদক। অর্থাৎ ফের একবার বর্ষসেরা পুরুষ ফুটবলার রূপে বিবেচিত হলেন তিনি। এই নিয়ে অষ্টমবার সম্মানিত হলেন মেসি। যা রেকর্ড বলা যেতে পারে। মেসির এই পদক জয়ের কথা যেন আগে থেকেই সবাই জানতেন। কেননা, সেরকমই গুঞ্জন উঠেছিল বিশ্ব ফুটবলের দুনিয়ায়। প্যারিসেই চোখ ধাঁধানো অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ব্যালন ডি'অর কার হাতে উঠবে ? সেই নিয়েই চলছিল জল্পনা। তবে অবশেষে গুঞ্জন আর জল্পনা কাটিয়ে মেসির নামই ঘোষণা করা হল।
ব্যালন ডি'অর-এর দৌঁড়ে ছিলেন ম্যানচেস্টার সিটির স্ট্রাইকার এরলিং হ্যাল্যান্ড এবং প্যারিস সেন্ট জার্মেইয়ের ফরোয়ার্ড কাইলিয়ান এমবাপেও। কিন্তু, দু'জনকেই পিছনে ফেলে আবারও একবার সেরা হলেন লিওনেল মেসি। ২০২২ ফিফা বিশ্বকাপ জয়ে নেতৃত্ব, একইসঙ্গে মেসির সাতটি গোল, গোল্ডেন বল, তাঁর হাতে ফের তুলে দেয় ব্যালন ডি’অর। সাদা শার্টের ওপর কালো কোট এবং কালো বো টাই পরে অনুষ্ঠানে এসেছিলেন মেসি। সঙ্গে ছিলেন তাঁর তিন ছেলে ও স্ত্রী।
উল্লেখ্য,গত মরশুমে ম্যাঞ্চেস্টার সিটির হয়ে ৫৩টি গোল করার পাশাপাশি ট্রেবল জিতেছিলেন হালান্ড। অন্যদিকে, গত কাতার বিশ্বকাপে ফ্রান্সকে ফাইনালে তোলার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করেছিলেন, একইসঙ্গে এমবাপে জিতেছিলেন গোল্ডেন বুটও। তবে, সেসব কীর্তিকে ছাপিয়ে গিয়েছেন মেসি।
গত মৌসুমটা স্বপ্নের মতোই কেটেছে মেসির। মৌসুমটিতে ক্যারিয়ারে একমাত্র অপূর্ণতাটুকুও ঘুচিয়েছেন ইন্টার মায়ামি তারকা। ৩৬ বছর পর মেসির হাত ধরেই বিশ্বকাপ জিতেছে আর্জেন্টিনা। দেশকে বিশ্বকাপ জিতিয়ে টুর্নামেন্টেরে সেরা খেলোয়াড়ও হয়েছেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। বিশ্বকাপ জিতে নিজের সব চাওয়া পাওয়া পূর্ণ হওয়ার কথাও বলেছিলেন মেসি।
মেসির এই নির্লিপ্ততাও ব্যালন ডি’অরকে তাঁর দিকে আসা থেকে রুখতে পারেনি। একই সঙ্গে এই পুরস্কার তাঁকে ফের প্যারিসেও ফিরিয়ে এনেছে। পিএসজিতে দুই বছরের তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়ে গত মৌসুম শেষে প্যারিস ছেড়েছিলেন মেসি। তবে এবার চওড়া হাসি নিয়ে প্যারিস ছাড়তে পারবেন ‘এলএম টেন’। ব্যালন ডি’অর নিয়ে এমন নির্লিপ্ততা কেন, সেই কারণও জানিয়েছেন মেসি, ‘আমি আমার ক্যারিয়ারে এটা অনেকবার বলেছি যে ব্যালন ডি’অর গুরুত্বপূর্ণ একটা পুরস্কার। ব্যক্তিগত পর্যায়ে এটা সবচেয়ে সুন্দর পুরস্কার। কিন্তু আমি কখনোই এটাকে অতটা গুরুত্ব দিইনি। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল দলীয় অর্জন।’