এ কেমন হাসপাতাল! শয্যা থেকে সরঞ্জাম থাকলেও কেন চালু হল না সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র
এক কোটি টাকার বেশি খরচে তৈরি হয়েছে পিংলার সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র। বছরের পর বছর কেটে গেলেও সেই সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র চালু হল না। দুর্ভোগ বাড়ছে স্থানীয় মানুষের।
নিজস্ব সংবাদদাতা: তৈরি হয়েছে ঝাঁ চকচকে নীল সাদা বিল্ডিং,এসেছে বেড,লাগানো হয়েছে লাইট,কিন্তু বছরের পর বছর পেরিয়ে গেলেও চিকিৎসা পরিষেবা পেলেন না এলাকাবাসী। ভরসা সেই এক ডাক্তাদের উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র। বড় দুর্ঘটনা ঘটলেই যেতে হয় তমলুক না হলে মেদিনীপুর মেডিক্যাল।
ঘটনা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পিংলা ব্লকের ৭ নং গোবর্ধনপুর অঞ্চলের হারমা এলাকায়। কয়েক বছর আগে এক কোটির বেশী টাকা দিয়ে তৈরি হয়েছে ১০ শয্যা বিশিষ্ট সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র। কিন্তু বছরের বছর গড়িয়ে গেলেও সমস্ত কিছু থাকা সত্ত্বেও সেই পরিষেবা এখনও চালু হয়নি। তাই স্থানীয় উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রতেই ভরসা এলাকাবাসীর। আর যদি বড় দুর্ঘটনা ঘটে তাহলে যেতে হবে তমলুক বা মেদিনীপুর মেডিক্যালে। হারমা এলাকার এই হাসপাতাল চালু হলে ৫-৬ টি গ্রামের মানুষ উপকৃত হবেন। কিন্তু চালু করার উদ্যোগ নিচ্ছে না কেউই। এলাকায় মানুষজনের দাবী এই হাসপাতালটি চালু হলে দূরে কাউকে যেতে হবে না। ডাক্তারের সংখ্যা বাড়বে,২৪ ঘন্টা এলাকার মানুষজন পরিষেবা পাবে। কিন্তু তা আর হচ্ছে কই? সকাল থেকে এসে উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে লাইন দিয়ে টিকিট কেটে একজন ডাক্তারকেই সমস্ত কিছু সমস্যা জানাতে হয়।এলাকাবাসীরা চাইছেন দ্রুত এই কেন্দ্রটি চালু করা হোক।
অপরদিকে পিংলা বিধানসভার বিধায়ক অজিত মাইতি জানান, 'আমাদের রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে একটি সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র তৈরি হয়েছে।আমরা দ্রুত CMOH এর সঙ্গে কথা বলে চালু করার চেষ্টা করব।'
তবে এলাকাবাসীর জন্য তৈরি হওয়া হারনা সুসাস্থ্য কেন্দ্র কবে চালু হবে সেই দিকেই তাকিয়ে পিংলাবাসী।