হরি ঘোষ, তৃণমূল : "তৃণমূল পার্টি কু জোড়াফুল চিহ্ন রে ভোট দিয়ন্ত"। কি ভাবেছেন? গোয়া আসাম বা ত্রিপুরার মতো ওড়িশাতেও ভোটে তৃণমূল প্রার্থী দিয়েছে ? না এই দৃশ্য ওড়িশার নয়। এই বাংলার। যেখানে দেওয়াল জুড়ে দেখা যাচ্ছে শুধু উড়িয়া ভাষা। উড়িয়া ভাষায় ভোট প্রার্থীর দেওয়াল লিখন। না ভুবনেশ্বর বা কটক নয়। পশ্চিম বর্ধমানের জামুড়িয়ায় ধরা পড়েছে এই দৃশ্য।পঞ্চায়েত ভোট মিলিয়ে দিল বঙ্গ ও কলিঙ্গকে।
ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে ওড়িশা ও বাংলাকে মিলিয়ে দিল দেওয়ালে। এ যেন ওড়িশার কোন এক গ্রামের ছবি।
জামুড়িয়া বিধানসভার গ্রাম পঞ্চায়েতের ২১৭ নম্বর বুথ খাস কেন্দা ভসকা ধাওড়াতে গেলেই ধরা পড়বে এমনই ছবি। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে দলের জেলা পরিষদের মনোনীত প্রার্থী পুতুল ব্যানার্জির সমর্থনে উড়িয়া ভাষাতে লেখা হয়েছে একাধিক দেওয়াল লিখন। উড়িয়া ভাষাতে দেওয়াল লেখায় বেজায় খুশি এলাকার উড়িয়াভাসী মানুষরা।
অজয় কুমার মাহান্তি জানান, মাতৃভাষাতে দেওয়াল লিখন দেখে তারা খুবই আনন্দিত। তাছাড়াও এখনো অনেক মানুষ বাংলা ভাষা ঠিকমতো পড়তে পারে না। ফলে ভোটে কে প্রার্থী সেটা তাদের বুঝতে অসুবিধা হয়। উড়িয়া ভাষাতে দেওয়াল লিখন হওয়ায় তাদের ভোটারদের খুবই সুবিধা হবে।
ওই এলাকার প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য তথা তৃণমূল নেতা গৌতম বাউরী জানান, কোল ইন্ডিয়ার জাতীয়করণ হওয়ার আগে বহু উড়িয়াভাষী খনি গর্ভে কয়লা কাটার জন্য এই এলাকায় এসেছিলেন। ১৯৭৩ সালে কোল ইন্ডিয়া রাষ্ট্রীয়করণ হওয়ার পর তারা স্থায়ী চাকরি পেয়ে যান। তারপর থেকে এই সমস্ত উড়িয়া পরিবার এইখানেই রয়ে গেছেন। তারা বর্তমানে ২১৭ নম্বর বুথের ভোটার। এই সংসদে মোট ৭৮০ ভোটার রয়েছে। এর মধ্যে চারশোর বেশি ভোটার উড়িয়া ভাষাভাষীর।
তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা পরিষদের মনোনীত প্রার্থী পুতুল ব্যানার্জি জানান ওই এলাকার প্রায় সমস্ত ভোটার তাদের সমর্থক। অনেক ওড়িয়া ভাষাভাষির মানুষ তাদের কাছে আবেদন করেছিলেন যে ওড়িশা ভাষায় যেন তার প্রচারের দেওয়াল লিখন করা হয়। সেইমতো তারা ভোটারদের সুবিধার্থে উড়িয়া ভাষায় দেওয়াল লিখন করেছেন।