কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় সুইসাইড নোট লিখে আত্মহত্যার চেষ্টা মহিলার

কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় সুইসাইড নোট লিখে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন এক মহিলা। সেই নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাদের গ্রেফতারের দাবিতে নিউ টাউনশিপ থানা ঘেরাও করে এলাকার মহিলারা।

author-image
Probha Rani Das
New Update
COVEfgR.jpg

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ স্বামীর ঠিকাদারী কাজ ফিরে পেতে হলে কুপ্রস্তাবে রাজি হতে হবে। আর এই কুপ্রস্তাব স্থানীয় বেশ কিছু তৃণমূল নেতা দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে। মানসিক চাপ সহ্য করতে না পেরে শুক্রবার গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে রিঙ্কু অঙ্কুর নামে এক মহিলা। দুর্গাপুরের নবীন পল্লী এলাকার এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

vbncbv16.jpg

তড়িঘড়ি রিঙ্কু অঙ্কুরকে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতাল এবং পরে দুর্গাপুরের বেসরকারি এক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। এই ঘটনায় শনিবার ফের অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে দুর্গাপুরের নিউ টাউনশিপ থানা ঘেরাও করে মহিলারা। থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয় সুকুমার বাউরি সহ বেশ কয়েকজন তৃণমূল কর্মীর নামে।

vbncbv17.jpg

শনিবার সকালে দুর্গাপুরের নবীন পল্লীতে বেশ উত্তেজনাও ছড়িয়ে পড়ে। অভিযোগকারী ও অভিযুক্তদের মধ্যে তীব্র বচসাও শুরু হয়। উত্তেজনার পারদ চড়তে শুরু করলে নিউ টাউনশিপ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দেয়। অভিযোগ উঠেছে, থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে বাধা দিচ্ছিলো অভিযুক্ত পাড়ার তৃণমূল নেতা বিল্লি, সুনীল বাউড়ি আর সুকুমার বাউরীরা। যদিও পড়ে পুলিশের হস্তক্ষেপে রিঙ্কু অঙ্কুরের পরিবার অভিযোগ জানাতে সক্ষম হয়।

uttam mukherjeer.jpg

জানা গেছে এই রিঙ্কু অঙ্কুর নিউ টাউনশিপ থানার অধীন নবীন পল্লী ও শিব মন্দির এলাকায় মদের ঠেক তুলতে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিল। রিঙ্কুর নেতৃত্বে প্রমীলা বাহিনী বেআইনি মদের ঠেক ভেঙে দেয়। সেই রাগেই ভোটের আগেই রিঙ্কুর স্বামী বাপি অঙ্কুরের ঠিকাদারী কাজ বন্ধ হয়ে যায়। এরপর ভোট মিটতেই স্বামীর চাকরি ফিরে পেতে স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের দ্বারস্থ হন রিঙ্কু অঙ্কুর। অভিযোগ উঠেছে যে, তখনই স্থানীয় ঐ তৃণমূল নেতারা নাকি কুপ্রস্তাব দেন ঐ মহিলাকে। ক্রমাগত মানসিক চাপ নিতে না পেরে গতকাল দুপুরে নিজের হাতে সুইসাইড নোট লিখে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ঐ মহিলা।

এরপরই উত্তেজনার পারদ চড়তে থাকে। যদিও এই ঘটনায় বিজেপি ও বিরোধীদের ইন্ধনকেই দায়ী করেছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। ভিত্তিহীন অভিযোগ পাল্টা দাবি বিজেপি নেতৃত্বের। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পুলিশ আরো তৎপর হয়েছে। গোটা ঘটনার জেরে টানটান উত্তেজনা দুর্গাপুরের নিউ টাউনশিপ থানার নবিন পল্লী এলাকায়। 

Add 1