নিজস্ব সংবাদদাতা: মেদিনীপুর শহর সংলগ্ন বিভিন্ন পার্ক ও কংসাবতী নদী তটে পিকনিক আমুদে লোকজনের ভিড় থাকলেও সবকে টেক্কা দিল গোপগড় ইকোপার্ক। ২৫ ডিসেম্বর বড়দিন থেকে নতুন বছরের প্রথম দিন পর্যন্ত ভিড় দেখা গিয়েছে। যার সব থেকে মূল কারণ নিরাপত্তা সুনিশ্চিত থাকায়।
এমনকি মেদিনীপুর শহর সংলগ্ন সব থেকে বড় পার্ক "গোপগড় ইকোপার্ক"। এই পার্কে এবার পিকনিকের আসন সংখ্যার দ্বিগুণ লোক ধরাতে বাধ্য হয়েছে। ভিড় থাকলেও বনকর্মী ও পুলিশের নিরাপত্তা ছিল কঠোরভাবে। নিষিদ্ধ ছিল সাউন্ড। মদ্যপানেও ছিল কড়া নজরদারি। আর যে কারণেই পরিবার-পরিজন নিয়ে শহর সংলগ্ন এই পার্কেই ভিড় জমান পিকনিক আমুদে মানুষজন। ২৫ ডিসেম্বর থেকে ১লা জানুয়ারি পর্যন্ত ১৫ লক্ষ টাকার বেশি আয় হয়েছে।
তবে অন্যান্য পার্কের থেকে প্রবেশ মূল্য অনেকটাই কম। গোপগড় ইকোপার্কের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক মলয় নন্দী জানিয়েছেন, “এই পার্কে পিকনিক স্পট ৮০টি থাকলেও দেড়শোর বেশি আসন করতে হয়েছে কয়েক দিন। গত পাঁচ বছরের রেকর্ড ভেঙে ভিড় হয়েছে”।
প্রতিদিনই কয়েক হাজার মানুষের ভিড় ছিল। সকাল থেকেই দীর্ঘ লাইন পড়ে পার্কের গেটের সামনে। যা যানজটের পরিস্থিতি তৈরি করে। বিশৃঙ্খলা এড়াতে গুড়গুড়িপাল থানার পুলিশ ও বনদপ্তরের ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা বলয় ছিল। প্রতিদিনই পুলিশ ও বনদপ্তরের যৌথ অভিযান চলে পার্কের ভেতরে লুকিয়ে চলা মদের আসর ভাঙতে। পারিবারিক পিকনিকে বনদপ্তরের গুরুত্বপূর্ণ পার্ক গোপগড় ইকোপার্ক। কঠোরভাবে এখানে মাদক নিষিদ্ধ।
তা সত্ত্বেও পিকনিক করতে এসে মদের আসর বসানো হয়েছিল পার্কের ভেতরে জঙ্গলের অনেকগুলি স্থানে। সেই আসরগুলি লন্ডভন্ড করে দেয় প্রশাসন। তবে পার্কটির আরও সংস্কার প্রয়োজন বলে জানান পর্যটকরা। তাদের দাবি, পার্কটির সৌন্দর্যায়ন ও বাচ্চাদের খেলার সামগ্রীর প্রয়োজন রয়েছে।