কেন নৈহাটির বড় কালি ‘বড়মা’ নামে পরিচিত! জানুন ইতিহাস -

তার ইচ্ছে মতন নৈহাটিতে এই মূর্তি তৈরি করে পুজো করতে শুরু করেন।

author-image
Atreyee Chowdhury Sanyal
New Update
boromaa_6_0

File Picture

নিজস্ব সংবাদদাতা: বাংলার আনাচে কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে কত কালীপুজোর উপাখ্যান। কোথাও স্বপ্ন দেশে দেবী কালী অধিষ্ঠিত হয়েছেন আবার কোথাও পাথর থেকেই গড়ে উঠেছে কালি মূর্তি। আর কয়েকটা দিন পরেই আলোর উৎসবে মেতে উঠবে বাঙালি। বাংলার যে কয়েকটি প্রসিদ্ধ কালী মন্দির রয়েছে তার মধ্যে একটি উত্তর ২৪ পরগনা নৈহাটির বড়মার কালী মন্দির। কিন্তু জানেন কি, কেন বড় মাকে ‘বড়মা’ বলা হয়? 

নৈহাটি বড় কালী মায়ের উচ্চতা ২১ ফুট। তাই তাকে ডাকা হয় বড়মা হিসেবে। তবে শতাব্দী প্রাচীন এই পুজোর আড়ম্বর ছিল না এত। শোনা যায় নৈহাটির বাসিন্দা জুট মিলের কর্মী ভবেশ চক্রবর্তী নামে এক যুবক তার চার বন্ধুকে নিয়ে নবদ্বীপের রাসমেলা দেখতে গিয়েছিলেন। সেখানে কালী মূর্তির উচ্চতা দেখে তিনি স্থির করেন এমনই এক মূর্তি তৈরি করে পূজা করবেন। 

398650324_18284428891197051_143540267652826609_n

তার ইচ্ছে মতন নৈহাটিতে এই মূর্তি তৈরি করে পুজো করতে শুরু করেন। তারপর থেকে এই পুজোর প্রচার লোকমুখে ছড়িয়ে পড়ে। প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ ভক্ত ছুটে আসেন মাকে দেখার জন্য। তাদের মত, বড়মা নাকি কাউকে খালি হাতে ফেরান না। 

উৎসবের দিনগুলিতে সোনা রূপো এবং অন্যান্য ধাতুর অলংকার পড়ানো হয় দেবীকে। পুজোর দিন প্রায় ১০০ কেজি সোনার অলংকারে সেজে ওঠেন বড়মা। দুস্থদের মধ্যে দান করে দেওয়া হয় বড়মার প্রাপ্ত বেনারসি শাড়ি গুলি। তবে বড়মার পূজো শুরু না হওয়া পর্যন্ত নৈহাটির অন্য কোন কালীপুজো শুরু হয় না।