দিগ্বিজয় মাহালী, পশ্চিম মেদিনীপুর : প্রাকৃতিক দুর্যোগের জেরে টানা বৃষ্টির পাশাপাশি মাইথন, পাঞ্চেত থেকে জল ছাড়ায় সব রকম সতর্কতা অবলম্বন করেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। রাজ্যের মুখ্য সচিব-এর সঙ্গে বৈঠকের পর, জেলার সমস্ত মহকুমা শাসক, বিডিও, পুলিশ প্রশাসন, বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর, স্বাস্থ্য আধিকারিক, পিএইচ ই ও সেচ দপ্তরের সমস্ত আধিকারিক, জরুরী পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত সমস্ত আধিকারিক এবং অন্যান্য দপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেন জেলা শাসক। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকলকে খুব সতর্ক থাকার পাশাপাশি পরিস্থিতির উপর সজাগ দৃষ্টি রাখার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই বন্যাপ্রবণ এলাকাগুলি চিহ্নিত করা হয়েছে এবং পর্যাপ্ত পরিমাণ ত্রাণ, মেডিকেল টিম ও অন্যান্য জরুরী পরিষেবার ব্যবস্থা তৈরি রাখা হয়েছে। বাঁধগুলির উপর কড়া নজরদারি ব্যবস্থা করা হয়েছে। ত্রাণ শিবির গুলি তৈরি রাখা হয়েছে।আগামী কয়েক দিন মৎস্যজীবীদের নদীতে মাছ ধরতে যাওয়ার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। জেলা ,মহকুমা ও ব্লক স্তরে ২৪ ঘন্টার জন্য কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। জেলা স্তরের কন্ট্রোল রুম নাম্বার ০৩২২২২৭৫৮৯৪ এবং ৮৩৪৮৩৩৮৩৯৩, সেচ দপ্তরের কন্ট্রোল রুম নম্বর ৭৬০২৬০২১৮১, জেলার স্বাস্থ্য দপ্তরের কন্ট্রোল রুম নম্বর: ৮৬৯৫৫০০৩৫০। জেলা প্রশাসনের সমস্ত আধিকারিকরা খুব সজাগ এবং সতর্ক রয়েছেনএবং পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত রয়েছেন। মানুষজনকে অহেতুক আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
সোমবার দুপুর সাড়ে ১২ টা নাগাদ গালুডি ব্যারেজের গেট খুলে দেওয়া হয়েছে ও জল ছাড়া হয়েছে। জানা যাচ্ছে গালুডি ব্যারেজ থেকে ১২-৩০ ঘন্টায় প্রায় ৯২,১০৩ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে যা ঝাড়গ্রাম জেলা হয়ে দাঁতন ও কেশিয়ারি পৌঁছাবে। অন্যদিকে দুর্গাপুর ব্যারেজেও জল ছাড়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। কংসাবতী বাঁধ দিয়ে ডিসচার্জ করা হয়ছিল ৫,০০০ কিউসেক জল। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী যা বাড়িয়ে ১০,০০০ কিউসেক করা হবে।