নিজস্ব সংবাদদাতা, ডেবরাঃ ২০২১ এর বিধানসভায় ডেবরার বিধায়ক হয়েছিলেন ড: হুমায়ুন কবীর। ভোটে ভারতী ঘোষকে হারিয়ে মন্ত্রীত্ব পেয়েছিলেন প্রাক্তন আই পি এস ড: হুমায়ুন কবীর। ডেবরার উন্নয়নও দ্রুত বেগে এগিয়ে চলছিল তার হাত ধরে। ডেবরা বাজারের মতো জায়গাকেও পরিস্কার করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন তিনি। ব্লক জুড়ে পানীয় জল, লোয়াদা ব্রীজ চালু সবই তার হাত ধরে। তার হাতে যেন ম্যাজিক ছিল। মানুষও খুশি ছিল। কাজের হিসাবে ডেবরার আগের বিধায়কদের সঙ্গে আকাশ পাতাল তফাত ছিল ড: হুমায়ুন কবীরের। কিন্তু ধীরে ধীরে সেই তেজ কোথাও যেন একটা নিস্তেজ হতে শুরু করল। ডেবরা টোলের ঝামেলার দায় এল ড: হুমায়ুন কবীরের উপর, জলিমান্দা অঞ্চলে একটি তরুনীকে চাকরি দেওয়ার নামে বাড়ীতে কাজ করানোর অভিযোগ নিয়েও তোলাপাড় হয়েছিল ডেবরা। আর তারপরেই চলে গেলো মন্ত্রীত্ব। কাজের গতিও কমতে শুরু হল ডেবরায়। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সেই সময় মজা নিয়েছিল নিজের দলেরই একাংশ। তারপর পঞ্চায়েত নির্বাচন। সেখানে তৃণমূলের একটা বড় অংশ নির্দলে যাওয়ার পরেও ব্লক জুড়ে ভালো ফল হয়েছিল। যার নেতৃত্বে ছিল সেই হুমায়ুন কবীর। তারপর কলকাতায় সংবাদ মাধ্যমে মুখ খুললেন, বিধানসভায় মুখ খুললেন। আর তারপর থেকেই তিনি দলের নজরে আসতে শুরু করলেন। দুদিন আগে তার নিরাপত্তা তুলে নেওয়া হল। যদিও এই বিষয়ে বিধায়ক ডঃ হুমায়ুন কবীর কোনো উত্তর দেননি।তবে তিনি বর্তমানে খোশ মেজাজে পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর বোর্ড গঠন নিয়ে ব্যাস্ত। ডেবরায় তিনি তাঁর কাজ করে যাচ্ছেন। কিন্তু দল তাকে নিয়ে কী ভাবছে? তার কর্মকান্ড নিয়ে কী ভাবছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়? সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন। কিছু না জানিয়ে নীরবে তার একটি একটি করে ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। তাহলে কী দলের সঙ্গে দূরত্ব তৈরী হচ্ছে ড: হুমায়ুন কবীরের? রাজ্য জুড়ে, জেলা জুড়ে,ডেবরা জুড়ে এখন সেই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে।