নিজস্ব সংবাদদাতাঃ পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election) আগে বারংবার হিংসায় কেঁপে উঠছে পশ্চিমবঙ্গের একের পর এক জেলা। বোমা ছোঁড়াছুঁড়ি, হামলা, আহত, মৃতের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। আর এসব কথা মাথায় রেখে গোটা রাজ্যেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর তত্ত্বাবধানে পঞ্চায়েত ভোট করানোর নির্দেশ জারি করে কলকাতা হাইকোর্ট বৃহস্পতিবার। এদিকে এই নিয়েই এবার সরব হল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল (TMC)। পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্যের সমস্ত জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে রিভিউ পিটিশন দায়ের করল পশ্চিমবঙ্গ সরকার।
বৃহস্পতিবার ১৫ জুন পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার সময় পশ্চিমবঙ্গের বেশ কয়েকটি জায়গায় হিংসা ছড়িয়ে পড়ে। রাজ্যে তিনজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। এদিকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন প্রক্রিয়া চলাকালীন অন্যান্য দলগুলির বিরুদ্ধে সহিংসতায় লিপ্ত হওয়ার অভিযোগ করেছেন। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ছিল আজ বৃহস্পতিবার ১৫ জুন।
আগামী ৮ জুলাই পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। মনোনয়নের শেষ দিনে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলায় তোলপাড় শুরু হয়। বীরভূম জেলার আহমেদপুরের সাঁইথিয়া বিডিও অফিসেও হিংসা ছড়িয়ে পড়ে। তবে এখান থেকে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। উত্তর দিনাজপুর জেলায় তিন ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানিয়ে সিপিআই (এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম দাবি করেছেন যে তিনজনই বামফ্রন্ট এবং একজন কংগ্রেসের সমর্থক ছিলেন।
অন্যদিকে মনোনয়ন পত্র জমা দিতে চোপড়া ব্লক অফিসে যাওয়ার সময় তিনজনকে গুলি করা হয়। ঘটনার পর আহত তিনজনকে জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজনের মৃত্যু হয়। আহতদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে অভিযোগ করেন মহম্মদ সেলিম। সিপিআই (এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম অভিযোগ করেছেন যে এই হামলার পিছনে তৃণমূলের হাত রয়েছে। যদিও রাজ্যের ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেস এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়ন নিয়ে হিংসায় সিপিআই (এম) এবং আইএসএফ জড়িত ছিল। পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়নের সময় কিছু বিরোধী দল বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। তিনি আরও বলেন, 'ইসলামপুর ও অন্যান্য জায়গায় যে সমস্যা হয়েছে, তাতে আমাদের দলের কোনও হাত নেই।‘