সেচের জন্য জল ছাড়া শুরু, উপকৃত হবেন তিন জেলার আমন চাষীরা

দেরিতে হলেও আজ থেকে বাঁকুড়ার মুকুটমনিপুর জলাধারের সেচ ক্যানালে ছাড়া হল জল।

author-image
Probha Rani Das
New Update
cofverj

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ দেরিতে হলেও আজ থেকে বাঁকুড়ার মুকুটমনিপুর জলাধারের সেচ ক্যানালে ছাড়া হল জল। আজ সকাল ৯ টা থেকে জল ছাড়া শুরু হয়েছে। দেরিতে হলেও মুকুটমনিপুর থেকে জল ছাড়া শুরু হওয়ায় বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর ও হূগলী জেলার একাংশের আমন চাষীরা উপকৃত হবেন।

vcbxvx6

বাঁকুড়ার কংসাবতী ও কুমারী নদীর সংযোগস্থলে থাকা মুকুটমনিপুর জলাধার থেকে সেচের জল পায় বাঁকুড়া,  পশ্চিম মেদিনীপুর ও হূগলী জেলার হাজার হাজার হেক্টর কৃষি জমি। চলতি বছর বর্ষার মরসুমে বৃষ্টির ঘাটতি থাকায় পশ্চিম মেদিনীপুর ও বাঁকুড়া জেলার বহু জমি এখনো অনাবাদী রয়ে গেছে। এই পরিস্থিতিতে বারংবার এলাকার চাষীরা মুকুটমনিপুর জলাধার থেকে জল ছাড়ার দাবী তুলতে থাকেন। কিন্তু সে সময় জল ছাড়ার মতো জল মজুত না থাকায় মুকুটমনিপুর জলাধার কর্তৃপক্ষ জল ছাড়তে পারেনি। তবে সম্প্রতি দফায় দফায় পুরুলিয়া ও বাঁকুড়ার একাংশে ভারী বৃষ্টি হওয়ায় মুকুটমনিপুর জলাধারে মজুত জলস্তরের উচ্চতা বেশ কিছুটা বৃদ্ধি পায়।

vcbxvx7

সেচ দফতর সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী ৪৩৪ একর ফুট জল ধারণকারী মুকুটমনিপুর জলাধারে এই মূহুর্তে জল রয়েছে ৪২৩.৭৫ একর ফুট। জলস্তর কিছুটা বাড়তেই ওই জলাধার থেকে প্রাথমিকভাবে ২০ দিনের জন্য সেচের জল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেচ দফতর জানিয়েছে আজ লেফট ব্যঙ্ক ফিডার ক্যনেলে ৩ হাজার কিউসেক ও রাইট ব্যঙ্ক মেইন ক্যনালে ১২০০ কিউসেক হারে জল ছাড়া শুরু হলেও চাষের প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী জল ছাড়ার পরিমান বৃদ্ধি ও হ্রাস করা হবে। জানা গেছে আজ থেকে প্রথম দফার জল ছাড়ার পর আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে দ্বিতীয় দফায় ১৫ দিন ও ১৭ অক্টোবর থেকে তৃতীয় দফায় আমনের জন্য জল ছাড়া হবে মুকুটমনিপুর জলাধার থেকে।

দেরিতে হলেও মুকুটমনিপুর জলাধার থেকে জল ছাড়া শুরু হওয়ায় স্বাভাবিক ভাবেই আশার আলো দেখছেন বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর ও হূগলী জেলার একাংশের আমন চাষীরা। বৃষ্টির অভাবে বাঁকুড়ার যে হেক্টরের পর হেক্টর জমি এখনো অনাবাদী পড়ে রয়েছে সেগুলিতেও আমন ধান রোপন করা সম্ভব হবে বলে আশাবাদী চাষীরা। মোট তিন দফায় সময়মতো কংসাবতী সেচ খাল থেকে জল মিললে আমন ধানের ফলনও ঠিকমতো মিলবে বলে আশায় বুক বাঁধতে শুরু করেছেন আমন চাষীরা।