নিজস্ব সংবাদদাতা, ঝাড়গ্রামঃ ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে ঝাড়গ্রাম জেলা জুড়ে বেশ কয়েকদিন ধরে শুরু হয়েছে একনাগাড়ে বৃষ্টি। অনবরত বৃষ্টির জেরে বাড়ছে ডুলুং নদীর জলস্তর। জামবনীর ডুলুং নদীর জল বইছে কজওয়ের উপর দিয়ে। বিচ্ছিন্ন চিল্কিগড় ও ঝাড়গ্ৰামের যোগাযোগ। টানা বৃষ্টিতে দু’কূল ভেসে গিয়েছে ডুলুং নদীর। ফলে জলে ডুবে গিয়েছে পর্যটন কেন্দ্র চিল্কিগড়ে ডুলুং নদীর উপর থাকা কজওয়। তার উপর দিয়ে প্রবল স্রোতে বইছে জল। আর তাতেই জেলার সদর শহর ঝাড়গ্রামের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে চিল্কিগড় ও জামবনী ব্লক।
চিল্কিগড়ের সঙ্গে যেমন ঝাড়গ্রামের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে তেমনই জামবনীর সঙ্গে চিল্কিগড়ের যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। একটু বেশি বৃষ্টি হলেই জলে ভেসে যায় ডুলুং নদী। তার ফলে প্রতিবছরই নিয়ম করে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে চিল্কিগড়। আর তাতে জামবনী ব্লকের চিল্কিগড়, গিধনী সহ বেশ কয়েকটি এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে জেলা শহর ঝাড়গ্রামের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এবারেও নিম্নচাপের বৃষ্টিতে সেই অবস্থা তৈরি হয়েছে।
এই পরিস্থিতি এড়াতে চিল্কিগড়ের মানুষ নদীর উপর একটি স্থায়ী সেতু তৈরির দাবি জানিয়ে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। কিন্তু তা না হওয়াতেই এই ভোগান্তি বলে তাদের অভিযোগ। জানা গেছে, ১৫ - ২০ টি গ্ৰামের মধ্যে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন।