দিগ্বিজয় মাহালী, কোলাঘাট : ভিনদেশে পড়তে গিয়ে বিপাকে কোলাঘাটের যুবক। প্রতি মুহূর্তে উৎকণ্ঠার মধ্যে দিন কাটছে। দ্রুত যেন ছেলে ফিরে আসে, সরকারের কাছে কাতর আবেদন।
উত্তর চব্বিশ পরগনার হাবড়ায় বাড়ি হলেও দীর্ঘদিন কোলাঘাটে বসবাস করেন কোলাঘাট কে.টি. পি.পি হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক তাপস রায়চৌধুরী। তাপস বাবুর এক ছেলে নীলাদ্রি রায় চৌধুরী।ভেটিনারি সায়েন্স নিয়ে পড়াশোনা করে কলকাতার বেলগাছিয়ার কলেজ থেকে পাশ করার পর ইসরায়েলের বারইলান ইউনিভার্সিটির আন্ডারে রিসার্চ এর সুযোগ পান। তারপরই কোলাঘাট থেকে পাড়ি দেন ইসরায়েলে। ২০২২ সালের ১ মার্চ ইসরায়েলের হাইফা শহরে পৌঁছান নীলাদ্রি। সেখানে এক বছর সাত মাস ধরে ক্যান্সারে রিসার্চ নিয়ে গবেষণা করছেন নীলাদ্রি। কিন্তু কয়েকদিনের যুদ্ধে চোখের সামনে নেমে এলো অন্ধকার। রুমের বাইরে বোমাগুলির শব্দ। প্রতিমুহূর্তে বেজে উঠছে সাইরেন। ছেলে বিপদের মধ্যে রয়েছে। তা নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে দিন কাটছে নীলাদ্রির বাবা মায়ের। নীলাদ্রির নভেম্বরের ১ তারিখ বাড়ি আসার কথা ছিলো। কিন্তু এখন দিন কাটছে বাঙ্কারের মধ্যে। প্রতিমুহূর্তে ভারতীয় দূতাবাসের সাথে যোগাযোগ রাখছে পরিবার। নীলাদ্রির পরিবারের একটাই দাবি, সরকারি সহযোগিতায় শুধু তাদের ছেলেই নয়, আটকে থাকা সমস্ত ছাত্রছাত্রী যেন বাড়ি ফিরে আসে নির্বিঘ্নে। নীলাদ্রির বাবা জানান যে ছেলের সাথে গতকাল রাতে কথা হয়েছে কিন্তু তারা খুব উদ্বিগ্ন।