নিজস্ব সংবাদদাতাঃ বিশ্বভারতীর উপাচার্যের মেয়াদ কাল শেষ হয়েছে ৮ নভেম্বর। এরপরে তিনি যাতে আর তার কার্যকাল বাড়াতে না পারেন তার জন্য বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা বিশেষ ভাবে সরব হয়েছেন।
উল্লেখ্য, হঠাৎই তৃণমূলের ধর্নামঞ্চের সামনে হাজির বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা। মঙ্গলবার রবীন্দ্রমূর্তিতে মাল্যদান করে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর সমালোচনায় মুখর হন তিনি। তার অভিযোগ, নিজেকে বিজেপি প্রমাণ করার চেষ্টা করছেন উপাচার্য। এমনকি, বিদ্যুৎ চক্রবর্তী কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে অপমান করছেন বলেও অভিযোগ করেন অনুপম।
এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা তার 'এক্স' হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করেছেন। যাতে লেখা রয়েছে, ' #বিশ্বভারতী কথামতো আর কিছুক্ষণের মধ্যেই গোবর জল ছিটিয়ে বিশ্বভারতীর মাটি'র শুদ্ধিকরণ করা হচ্ছে। ' এছাড়াও সেই পোস্টে বিজেপি নেতা এক রম্য কবিতাও পোস্ট করেছেন।
#বিশ্বভারতী
— Dr. Anupam Hazra 🇮🇳 ডঃ অনুপম হাজরা ✨ (@tweetanupam) November 9, 2023
কথামতো আর কিছুক্ষণের মধ্যেই গোবর জল ছিটিয়ে বিশ্বভারতীর মাটি'র শুদ্ধিকরণ করা হচ্ছে.... pic.twitter.com/uSA8JLebuK
উল্লেখ্য, সম্প্রতি বিশ্বভারতীর পক্ষে উপাসনা গৃহ, ছাতিমতলা এবং রবীন্দ্রভবনের উত্তরায়ণের সামনে শ্বেতপাথরের ফলক বসানো হয়েছে। তাতে লেখা হয়েছে, ‘ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট’। তার ঠিক নীচে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বিদ্যুত চক্রবর্তীর নাম রয়েছে। তবে তাতে কবিগুরুর উল্লেখ নেই। তা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। ফলক-বিতর্কে সরব তৃণমূল শান্তিনিকেতনে ‘কবিগুরু মার্কেট’-এ ১২ দিন ধরে ধর্না করছে। মঙ্গলবার সেখানেই আচমকা হাজির হন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা অনুপম। সেখানে গিয়েই তিনি উপাচার্যের বিরুদ্ধে একের পর এক মন্তব্য করেন তিনি। অনুপমের কথায়, ‘‘ এই ভিসি (উপাচার্য) ভণ্ড ভিসি। ইনি চেষ্টা করছেন বিজেপি সাজার। যাতে ওর কার্যকালের মেয়াদ বাড়ে, তাই এই চেষ্টা।’’
অনুপম আরও বলেন, ‘‘ উনি বিদ্যুৎ নন। বিশ্বভারতীর বুকে বজ্রবিদ্যুৎ। কারণ, উনি যখন থেকে এসেছেন, শান্তিনিকেতনে পৌষমেলা বন্ধ হয়েছে। উনি বসন্ত উৎসব বন্ধ করেছেন। বোলপুরের মানুষ ওর উপর বিরক্ত। উনি নিজে বহিরাগত। ওনার না আছে শান্তিনিকেতন সম্পর্কে কোনও ধারণা, আর না শান্তিনিকেতনের কোনও আবেগ উনি বোঝেন। এমন মানুষ শান্তিনিকেতনের বুকে ভাইরাসের মতো। ’’
বিজেপি নেতা আরও দাবি করেছেন যে, ‘‘ওই উপাচার্য যাওয়ার পর শান্তিনিকেতনকে গোবরজল দিয়ে শুদ্ধ করব।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকার বুঝতে পেরেছে যে, উনি বিশ্বভারতীকে যে ভাবে কালিমালিপ্ত করেছেন, বোলপুরের মানুষের ভাবাবেগে আঘাত করেছেন, তাতে ওঁর মেয়াদ বৃদ্ধি করা যাবে না। ’’