পঞ্চায়েতে হিংসাঃ কে দায়ী?

পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Vote) আবহে দফায় দফায় হিংসায় কেঁপে উঠেছে পশ্চিমবঙ্গের বহু জেলা। জেলায় জেলায় রক্ত ঝরছে মানুষের। আতঙ্কিত ভোটার থেকে শুরু করে ভোট কর্মীরা।

author-image
SWETA MITRA
New Update
pan 1.jpg

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Vote) দিন রক্তে ভিজে গিয়েছে বাংলার মাটি। মুহুর্মুহু হিংসা, বোমাবাজি, গুলি সব মিলিয়ে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বাংলাজুড়ে। আজ পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত ভোটে যে পরিমাণ সন্ত্রাস হয়েছে তা অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে।   কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতি সত্ত্বেও হিংসা,ভোটে কারচুপি ও বুথে লুটপাট এবং গুলি বর্ষণ ও বোমা নিক্ষেপের ঘটনা সারা রাজ্যজুড়ে চলছে।

দাউদাউ করে জ্বলছে ব্যালট বক্স! ভয়াবহ পরিস্থিতি বাংলায়

এত কিছু সত্ত্বেও মুখে কুলুপ এঁটেছেন নবনিযুক্ত রাজ্যের প্রধান নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা। বিরোধীরা তাঁকে ক্ষমতাসীন দলের কট্টরপন্থী বলে অভিহিত করেছে। অভিযোগের জবাবে তৃণমূল নেতারা উল্লেখ করেছেন যে রাজীব সিনহা আইন অনুযায়ী কাজ করেছেন।

pan 2.jpg

বাংলার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস, যিনি রাজ্যের একাধিক জায়গায় সকাল থেকেই ঘুরে বেরাচ্ছেন  এবং রাজীব সিনহার সাথে একাধিক বৈঠক করেছিলেন, তিনিও কিনা দিনের বেশিরভাগ সময় চুপ ছিলেন। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, একের পর এক মানুষ যখন প্রাণ হারাচ্ছে এবং হিংসা রাজ্যকে গ্রাস করেছে, তখন এসব ঘটনার জেরে দায়ী কে? কারই বা দোষ?

বিরোধী দল বিজেপি ও বামেরা অভিযোগ করেছে যে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ কেন্দ্রীয় বাহিনী ব্যবহার করছে না। একদম শেষ মুহূর্তে রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী এসে পৌঁছেছে। দেরিতে আদেশ জারির ফলে রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঢুকতেও দেরী হয়েছে।

pan 3.jpg

 একাধিক রাজ্য থেকে তাঁদের জড়ো করে এক জায়গায় এনে পশ্চিমবঙ্গে পাঠাতে অনেকটাই সময় লেগে গিয়েছে বলে খবর। পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে একাধিক মামলা হয়েছিল যা নির্বাচনী প্রক্রিয়াটিকে আরও বিলম্বিত করেছিল। রাজ্য নির্বাচন কমিশন, রাজনৈতিক দল এবং রাজ্যপাল যখন একতরফা খেলায় লিপ্ত হয়েছেন বলে অভিযোগ। অন্যদিকে গ্রাম বাংলার নিরীহ মানুষ তাদের জীবন দিয়ে মূল্য পরিশোধ করছেন।